সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অভিষেক বলেন, ‘নন্দীগ্রামে যে ঘটনা ঘটনা ঘটেছে তা মোটেই কাম্য নয়। আমাদের দলের কর্মীদের মারধর করা হয়েছে। এখানে আমাদের দলে যে ১৪ জন কর্মী ভর্তি রয়েছেন, তাদের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। কোন কোন বিজেপি নেতা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের নামের তালিকা তৈরি করেছি। সেই তালিকা আমি আমাদের নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে তুলে দেব। পায়ের তলার মাটি সরে যাওয়ায় বিজেপি যে ঘটনা ঘটাচ্ছে সেটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।’
অভিষেকের দাবি, নন্দীগ্রামের তৃণমূল কর্মীদের মারধরের ঘটনায় জড়িত বিজেপি নেতাদের হাইকোর্ট রক্ষাকবচ দিয়ে রেখেছে, সেই কারণে প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ নিতে পারছে না। অভিষেক বলেন, ‘প্রলয় পাল, অশোক করণ সহ নন্দীগ্রামের যেসব বিজেপি নেতারা আমাদের দলের কর্মীদের মারধরের ঘটনার সঙ্গে জড়িত, আদালত তাদের রক্ষাকবচ দিয়ে রেখেছে। পুলিশ প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ করতে পারছে না। কলকাতা হাইকোর্টের একজন বিচারপতি এই কাজ করছেন। তাঁর জন্য গোটা বিচার ব্যবস্থা কলুষিত হচ্ছে। হাইকোর্টের বাকি বিচারপতিরা নিজেদের সাধ্যমতো কাজ করার চেষ্টা করছেন, নিরপেক্ষ থাকার চেষ্টা করছেন।’
শুভেন্দু অধিকারীকেনও নিশানা করেন অভিষেক। তৃণমূল নেতা বলেন, ‘বিচার ব্যবস্থা একজনের কারণে কলুষিত হচ্ছে। অনেকেই বলছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করছে না। শুভেন্দু অধিকারীর গাড়ি সাধারণ মানুষকে গাড়ি চাপা দিয় চলে যাচ্ছে। আর ওই বিচারপতি শুভেন্দুকে এমন রক্ষাকবচ দিয়েছেন যে আগামী দিনেও ওঁর কোনও অপরাধের জন্য পুলিশ পদক্ষেপ করতে পারবে না। অনন্তকালের জন্য রক্ষাকবচ দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এতে যদি আদালত অবমাননার কারণে আমাকে জেলে যেতে হয়, কোনও সমস্যা নেই।’
ভোট হিংসা নিয়েও মুখ খুলেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। অভিষেক বলেন, ‘বিক্ষিপ্ত ঘটনা অতিরঞ্জিত করে দেখানো হয়েছে। গোটা বাংলার ছবি এটা নয়। মানুষের রায়ে তৃণমূল কংগ্রেস ভোটে জিতেছে। সন্ত্রাসের কারণে যাঁরা মারা গিয়েছেন তাঁর অধিকাংশ তৃণমূলকর্মী। বাংলার নাম গোটা দেশে বদনামের চেষ্টা করা হচ্ছে। মানুষ ২০২৪ সালে এর জবাব দেবে।’