এদিন বাংলায় টুইট করে অমিত শাহ লিখেছেন, ”পশ্চিমবঙ্গের এই রক্তক্ষয়ী সন্ত্রাস বিজেপিকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে দুর্দান্ত ফল করা থেকে থামাতে পারেনি। বিজেপি আগের নির্বাচনের তুলনায় তার আসন সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ বাড়িয়ে নিয়েছে, যা থেকে প্রমাণিত আমাদের ওপর জনগণের আস্থা বৃদ্ধি পেয়েছে।” এখানেই শেষ নয়, ”এই ফলের জন্য জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি লিখেছেন, এটি একেবারে জলের মতো স্বচ্ছ যে জনগণের স্নেহ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজী-এর নেতৃত্বাধীন বিজেপির সঙ্গে রয়েছে এবং লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে তারা বিজেপিকে অবশ্যই উচ্চতার শিখরে নিয়ে যাবে।”
এই ফলের জন্য রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে কৃতিত্ব দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। টুইটে তিনি লিখেছেন, ”পশ্চিমবঙ্গের জনগণের প্রতি আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা সুকান্ত মজুমদার এবং শুভেন্দু অধিকারী এবং সকল কার্যকর্তাদের অনেক অভিনন্দন যারা দৃঢ়তার সঙ্গে প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও দলের পাশে অটুটভাবে ছিলেন।”
পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপির ফল
মনোয়ন থেকে ভোটের দিন, এমনকী ভোটের ফল বেরনোর পরও একের পর এক ঘটনায় ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্তের তালিকায় রয়েছে বিজেপি নেতা -কর্মীদেরও নাম। অন্যদিকে, গ্রাম পঞ্চায়েতের আসন সংখ্যা শেষ পঞ্চায়েত ভোটের নিরিখে বাড়লেও ২০২১-এর বিধানসভা ভোটের তুলনায় ভোট কমেছে ১৫ শতাংশের বেশি। যা রাজ্য নেতৃত্বের শীর্ষ নেতার কাছে বিড়ম্বনার বটে। এমনকী , ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে প্রায় ৪১ শতাংশ ভোট পেয়েছিল গেরুয়া শিবির। সেই ভোট পার্সেন্টেজ কমে যায় একুশের বিধানসভায়। এবার পঞ্চায়েতে এক ধাক্কায় আরও অনেকটাই কমল সমর্থন। কিন্তু ব্যর্থতা ঢাকতে নেগেটিভ দিকটাকে লুকিয়ে পজিটিভ দিকটিতেই আলোকপাত করছে বঙ্গ বিজেপি।