বৃহস্পতিবার এ নিয়ে কলেজে কথা বলতে যান ভাঙড় ১ নম্বর ব্লকের বিডিও দীপ্যমান মজুমদার। তিনি কলেজের প্রিন্সিপ্যালের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি ঘুরে দেখেন কোথায় কত বাহিনী আছে। এই মুহূর্তে অনেকগুলি ক্লাসরুমই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য। এ দিন বিডিও বলেন, ‘জেলাশাসকের নির্দেশে আমি গিয়েছিলাম কলেজে। ওখানে যা বাহিনী আছে তা অন্যত্র স্থানান্তরিত করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’
আগামী ১৫ জুলাই থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত ভাঙড় কলেজে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা হবে। জীবনতলা রোকেয়া মহাবিদ্যালয় ও চম্পাহাটি সুশীল কর মহাবিদ্যালয়ের মোট ১২০০ ছাত্রছাত্রী এই কলেজে পরীক্ষা দেবেন। পঞ্চায়েত ভোটে অশান্তির প্রেক্ষিতে ভাঙড় মহাবিদ্যালয়ের তরফে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে আবেদন করা হয়, পরীক্ষার সিট অন্যত্র সরিয়ে দেওয়ার।
যা নাকচ করে দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য শান্তা দত্ত এর আগে ‘এই সময়’-কে বলেছিলেন, ‘প্রয়োজনে মিলিটারি দিয়ে পরীক্ষা নিতে হবে। কিন্তু এতজন পড়ুয়ার পরীক্ষার ব্যবস্থা অন্যত্র সরানো সম্ভব নয়।’ বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, এ দিন উপাচার্যের সঙ্গেও জেলাশাসকের কথা হয়। তিনি জেলাশাসককে প্রয়োজন ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করেন।
এরপরই বিডিও সরাসরি কলেজে চলে আসেন। এবং প্রিন্সিপ্যালকে ফোন করেন মহকুমা শাসক। পরে প্রিন্সিপ্যাল বলেন, ‘পড়ুয়ারা একবার কলেজে ঢুকে পড়লে ওদের শান্তিপূর্ণ ভাবে পরীক্ষার ব্যবস্থা আমরা করে দিতে পারব। কিন্তু রাস্তায় এই গণ্ডগোলের মধ্যে কিছু হয়ে গেলে কী হবে? কেউ যদি অবরোধে ফেঁসে যায় কী হবে?’ সেজন্য এ দিন বীরবিক্রম জেলা প্রশাসনকে কলেজের ভিতরে এবং বাইরে যথাযথ পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার অনুরোধ করেছেন।
বারুইপুর পুলিশ জেলার এক কর্তা বলেন, ‘যতটুকু উত্তেজনা আছে তা কাশীপুর থানা এলাকায়। ভাঙড় থানা এলাকায় কিছু নেই। তাছাড়া ভাঙড় থেকে জীবনতলা ও চম্পাহাটি যাওয়া আসার রাস্তায় অবরোধের সম্ভাবনা ক্ষীণ।’ বারুইপুরের মহকুমা শাসক সুমন পোদ্দারের বক্তব্য, ‘ভাঙড়ের পরিস্থিতি এখন পুলিশ প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে আছে। পরীক্ষা হবে নির্ধারিত সূচি মেনেই। ওই এলাকায় এখন যে ১৪৪ ধারা জারি আছে, প্রয়োজনে তার মেয়াদ বাড়তে বা কমতে পারে।’