Calcutta High Court : নিখোঁজ তরুণীর খোঁজ পেতে সিপিকে নির্দেশ – five years ago a young woman was rescued and placed in a government home in taratala but mysteriously disappeared


অমিত চক্রবর্তী
পাচারকারীদের খপ্পর থেকে উদ্ধার করার পর তারাতলার একটি সরকারি হোমে রাখা হয়েছিল এক তরুণীকে। সেখান থেকেও ওই তরুণী রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় চরম উদ্বিগ্ন কলকাতা হাইকোর্ট। পাঁচ বছর পরেও তাঁর খোঁজ না-মেলায় পুলিশের ভূমিকায় বিরক্ত আদালত। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তার ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, অপহরণের অভিযোগে দায়ের হওয়া এই মামলায় কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে ব্যক্তিগতভাবে তদন্ত করে তরুণীকে খুঁজে বের করতে হবে।

Calcutta High Court : হাইকোর্টের নির্দেশে বাসে চেপে আদালতে এলেন জয়েন্ট সেক্রেটারি, পুলিশ সুপার করলেন গাড়ি ভাড়া!
আর আদালতের নির্দেশের পরেও পুলিশের দায়সারা তদন্তের ব্যাখ্যাও দিতে হবে কমিশনারকে। ক্ষুব্ধ ডিভিশন বেঞ্চের বক্তব্য, তিনি যেভাবেই থাকুন, তাঁর খোঁজ পেতেই হবে পুলিশকে। আদালত চায়, যে কোনওভাবে তাঁর সন্ধান পেতে। এই ঘটনা সামনে আসার পর রাজ্যের নারী-শিশু ও সমাজকল্যাণ দপ্তরের একটি রিপোর্ট আরও উদ্বেগ বাড়িয়েছে আদালতের। সেই রিপোর্ট থেকে স্পষ্ট, সরকারি নজরদারিতে থাকা এমন বেশ কিছু তরুণীর কোনও খোঁজ নেই রাজ্যের কাছে। তাই আদালতের নির্দেশ, পাচার হয়ে ফিরে আসা এমন কতসংখ্যক মেয়ে নিখোঁজ–তা বিস্তারিতভাবে জানিয়ে আরও বেশকিছু তথ্য সমেত রিপোর্ট দিতে হবে। ৯ অগস্ট মামলার পরবর্তী শুনানিতে কলকাতার সিপি ও রাজ্যের নারী-শিশু ও সমাজকল্যাণ দপ্তরের সচিবকে রিপোর্ট দিতে হবে।

Adhir Ranjan Chowdhury: আক্রান্তদের ক্ষতিপূরণের বিবেচনা! ভোটের অশান্তিতে BSF-র রিপোর্ট তলব কলকাতা হাইকোর্টের
প্রায় এক দশক আগে পাচারকারীদের খপ্পর থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল ওই তরুণীকে। নারী পাচারের ওই মামলায় ধৃত অভিযুক্তদের জামিনের আবেদনের মামলাতেই হাইকোর্ট জানতে পারে, ২০১৮ সাল থেকেই ওই তরুণীর খোঁজ মিলছে না। ফলে নিম্ন আদালতে এই মামলার ট্রায়ালও আটকে রয়েছে। গত মার্চ মাসে বিচারপতি বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ নারী-শিশু ও সমাজকল্যাণ দপ্তর-সহ বেশ কয়েকটি সরকারি বিভাগকে মামলায় যুক্ত করে।

Calcutta High Court : জয়ীদের ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে রায়ের উপর! পঞ্চায়েতের সব নথি সংরক্ষণের নির্দেশ হাইকোর্টের
কেন পাঁচ বছরেও তরুণীর হদিশ মেলেনি–তার পাশাপাশি রাজ্যের চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটি এবং সমাজকল্যাণ দপ্তরের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলে হাইকোর্ট। পুলিশ কেন কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপ করেনি, তা নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে আদালত। বেঞ্চের মনোভাব বুঝে কলকাতা পুলিশ তড়িঘড়ি সিট গঠন করে। কিন্তু বুধবার শুনানিতে সেই সিটের ভূমিকা নিয়েও পুলিশকে ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি বাগচি। গত মার্চ মাসে এই আদালত ওই তরুণীকে খুঁজে বের করতে সবরকম পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছিল। তারপরেও পুলিশ যে পদক্ষেপ করেছে, তাতে মোটেও সন্তুষ্ট নয় হাইকোর্ট। সূত্রের খবর, পাচার থেকে উদ্ধার হওয়ার পরে ওই তরুণীকে একটি কাজের ব্যবস্থা করে দিয়েছিল একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। তাঁর থাকার ব্যবস্থা ছিল তারাতলার সরকারি হোমে।

Chhatradhar Mahato : একাধিক কড়া শর্ত! রাজধানী এক্সপ্রেস অপহরণ মামলায় ছত্রধরের জামিন মঞ্জুর
এরইমধ্যে নারী ও শিশু কল্যাণ দপ্তরের রিপোর্ট দেখে আদালতের বক্তব্য, এদের সুরক্ষার দায়িত্ব যাঁদের, সরকারের সেই দপ্তরগুলির কে কী কাজ করছে–সেটা বোঝাই যাচ্ছে। আদালত একসময়ে প্রায় হুঁশিয়ারির সুরে বলে, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এরকম যত তরুণীর হদিশ মিলছে না, তাঁদের প্রত্যেকের জন্য আলাদা আলাদা এফআইআর করার নির্দেশ দিতে পারে আদালত। চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটিগুলির ভূমিকা নিয়েও যে যথেষ্ট প্রশ্ন তোলার সুযোগ রয়েছে, তাও বুঝিয়ে দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। নিখোঁজ এই তরুণীকে খুঁজে পেতে শুধু সিট গঠন না করে পুলিশ কমিশনার এতদিন নিজে কী করছিলেন, ভবিষ্যতে তারও জবাব চাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে আদালত।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *