এর ফলে প্রায় দশজন মতো BJP কর্মীর পাশাপাশি সাধারণ মানুষজন গুরুতর আহত হন। যার মধ্যে BJP প্রার্থী দুলাল চন্দ্র মহন্ত এবং এক পথচারী গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁদের চিকিৎসার জন্য স্থানীয় কুমারগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতাল নিয়ে আসা হয়েছে। এই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন BJP-র জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী সহ অন্যান্য জেলা BJP নেতৃত্বরা। গুরুতর আহতদের কুমারগঞ্জ থেকে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে রেফার করা হয়। উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয় কুমারগঞ্জে। ব্যালট পেপার গণনার ক্ষেত্রেও ব্যাপক কারচুপি করা হয়েছে বলে অভিযোগে।
এই নিয়ে শুক্রবার কুমারগঞ্জ ব্লক অফিস ঘেরাও বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে বামফ্রন্ট ও BJP। এদিকে BJP-র সেই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সামিল হন বামফ্রন্টের প্রার্থী থেকে অন্যান্য দলীয় কর্মী সমর্থকরা। পরে BJP ও বামফ্রন্ট এক যোগে BDO অফিস এবং থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে।
এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশের পাশাপাশি BDO অফিস এবং থানা চত্বরের সামনে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকেন বামফ্রন্ট ও BJP-র কর্মী সমর্থকরা। তাঁদের একটাই দাবি ফের ভোট করাতে হবে কুমারগঞ্জ ব্লক জুড়ে। পাশাপাশি গণনা কেন্দ্রের পাশে ব্যালট পেপার কোথা থেকে এল তা পরিষ্কারভাবে জানাতে হবে।
এছাড়াও পরে যে পুলিশ ব্যালট পেপার উদ্ধার করে নিয়ে গেল তার কোনও সিজার লিস্ট দেয়নি বলে অভিযোগ বাম ও BJP কর্মী সমর্থকদের। কারচুপির ঘটনা ধামাচাপা দিতেই শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে লাঠিচার্জ করা হয়েছে বলে অভিযোগ BJP-র। আক্রান্ত BJP প্রার্থী দুলাল চন্দ্র মহন্ত বলেন, ‘BJP-র ছাপ মারা অনেক ব্যালট পেপার বাইরে রাস্তার ধারে পাওয়া গিয়েছে।
মানে আমাদের স্বপক্ষে অনেক ভোট পড়েছে, কিন্তু তৃণমূল চক্রান্ত করে সেগুলি বাইরে ফেলে দিয়েছে। সেই কারণেই বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছিল। হঠাৎ পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী লাঠিচার্জ করে। তাতে আমি ও বেশ কিছু মানুষ গুরুতর আহত হয়েছি’।