চন্দ্রকান্ত-২ মিশনের অংশ ছিলেন হুগলির চন্দ্রকান্ত কুমার। ২০১৯ সালের ২২ জুলাই উৎক্ষেপণের পর ৬ সেপ্টেম্বর চন্দ্রযান ২ এর ল্যান্ডার বিক্রম চাঁদে অবতরণ করতে ব্যর্থ হয়। কিন্তু, চার বছর পর ফের একবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে ভারত। অতীতে যে যান্ত্রিক ত্রুটিগুলি ছিল তা শুধরে আরও একবার ‘মুন মিশন’ করছে ভারত।
এই মিশনে চন্দ্রকান্ত বা শশীকান্ত সক্রিয়ভাবে অংশ নেননি। তবে এখনও তাঁরা ইসরোতে কর্মরত। এই মিশন সফল হবে, এমনটাই আশাবাদী হুগলির কুমার পরিবার।
উল্লেখ্য, মধুসূদন কুমার এখনও কৃষিকাজ করেন। ছেলেরা বছরে দু’বার করে বাড়তে আসেন। তিনি বলেন, “আশা করি চন্দ্রযান ৩ সফলভাবে ল্যান্ড করবে। আমার ছেলে এই মিশনে নেই। কিন্তু, যদি চন্দ্রযান ৩ সফল হয় সেই আনন্দ সকলেই ভাগ নেবে।”
তিনি জানান, ছেলে মিশনে না থাকলেও সর্বোতভাবে এর সাফল্য কামনা করছেন। অন্যদিকে, অসীমাদেবী বলেন, “যদি এই মিশন সফল হয় তাহলে গোটা দেশের জন্য গর্বের কারণ হবে। আমার ছেলে না থাকুক যাঁরাই মিশনে রয়েছেন তাঁরা ভারতীয়। তাঁদের সাফল্য পেলেও আমার বুক গর্বে ফুলে উঠবে। ছেলের সঙ্গে প্রতিদিন কথা হয়। কিন্তু, কোনওদিন এই সমস্ত বিষয়ে আলোচনা হয়নি।”
উল্লেখ্য, শুক্রবার ইতিহাসের সাক্ষী থাকল বিশ্ব। শ্রীহরিকোটা থেকে সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হয় চন্দ্রযান ৩। সমস্তকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২৩ বা ২৪ অগাস্ট তা চাঁদের বুকে অবতরণ করতে চলেছে। জানা গিয়েছে, ১৪ দিন চন্দ্রপৃষ্টের ছবি তুলবে এই চন্দ্রযান। বিভিন্ন পরীক্ষা চালাবে।
এই অভিযান সফল হলেই ভারতের অর্থনৈতিক দিক থেকেও অনেক উন্নতি হতে চলেছে। কর্মসংস্থানও হতে চলেছে, জানা গিয়েছে এমনটাই। শুধু তাই নয়, মহাকাশ গবেষণায় অন্যতম উল্লেখযোগ্য জায়গা করে নিতে চলেছে ভারত, এমনটাই দাবি করেছেন বিশেষজ্ঞ মহল।