এই সময়: দেহের পাশে পড়ে কন্ডোমের খোলা প্যাকেট। মেঝেতে পড়ে নিথর বৃদ্ধ। তাঁর দেহে পচনও ধরেছে। বুধবার ভোরে কটু গন্ধ পান একবালপুরের মহামেডান লেনের এক বাসিন্দা। ঘরের খোলা দরজা দিয়ে উঁকি দিয়ে এই দৃশ্য দেখেন তিনি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, গলা টিপে শ্বাসরোধ করে খুন করা হতে পারে বৃদ্ধকে। সন্দেহের তির মৃতের পরিচারিকার দিকে।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম ডি মারিয়ান (৬৭)। তিনি অকৃতদার ছিলেন। মহামেডান লেনের ওই বাড়িতে ৩০ বছর ভাড়া থাকতেন তিনি। পেশায় ছিলেন গাড়ির চালক। তাঁর বাড়িওয়ালা এবং প্রতিবেশীরা পুলিশকে জানিয়েছেন, মারিয়ানের ঘরে প্রায় কারও যাতায়াত ছিল না। তিনি নিজের মতোই থাকতেন। প্রতিদিন সকালে এক মহিলা এসে তাঁর রান্না করে দিয়ে যেতেন। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, দেহ উদ্ধারের অন্তত ৭২ ঘণ্টা মৃত্যু হয়েছে ওই বৃদ্ধের। বুধবার দেহ উদ্ধারের পর থেকেই তাঁর পরিচারিকার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম ডি মারিয়ান (৬৭)। তিনি অকৃতদার ছিলেন। মহামেডান লেনের ওই বাড়িতে ৩০ বছর ভাড়া থাকতেন তিনি। পেশায় ছিলেন গাড়ির চালক। তাঁর বাড়িওয়ালা এবং প্রতিবেশীরা পুলিশকে জানিয়েছেন, মারিয়ানের ঘরে প্রায় কারও যাতায়াত ছিল না। তিনি নিজের মতোই থাকতেন। প্রতিদিন সকালে এক মহিলা এসে তাঁর রান্না করে দিয়ে যেতেন। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, দেহ উদ্ধারের অন্তত ৭২ ঘণ্টা মৃত্যু হয়েছে ওই বৃদ্ধের। বুধবার দেহ উদ্ধারের পর থেকেই তাঁর পরিচারিকার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।
পরে পুলিশ জানতে পারে, দেহ উদ্ধারের পর-পরই মারিয়ানের ওই পরিচারিকা একবালপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। বছর বত্রিশের ওই মহিলা সেখানকারই বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার বিকেলে তাঁকে হাসপাতালে গিয়েই জেরা করেন তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার দুপুরের দিকে জ্বর আর মাথাব্যথার উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হন তিনি।
কলকাতা পুলিশের অপরাধ দমন বিভাগের যুগ্ম কমিশনার শঙ্খশুভ্র চক্রবর্তী বলেন, ‘ডি মারিয়ানের ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে গলা টিপে শ্বাসরোধের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যার ভিত্তিতে আমাদের ধারণা খুন হতে পারেন তিনি। তাঁর রাঁধুনিকে জেরা করা হবে।’ ওই বৃদ্ধের কোনও পরিজনের খোঁজ পায়নি পুলিশ। পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত করছে। সেই মামলায় খুনের ধারা যুক্ত করা হতে পারে বলেও পুলিশ সূত্রে খবর।