এদিন ভাঙড়ে মৃত তিন আইএসএফ কর্মীর বাড়িতে গিয়ে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলার পরিকল্পনা ছিল বিধায়ক নওশাদের। একইসঙ্গে আইএসএফ নেতা জানান, এদিন তাঁর ভাঙড়ের অফিসে গিয়ে এলাকার মানুষদের যে সব আর্জি ও সমস্যা কিংবা পেপার সইয়ের কাজ বাকি আছে, সেগুলি সম্পূর্ণ করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু এই পুলিশি বাধায় ব্যাহত সব পরিকল্পনা। নওশাদ সিদ্দিকী ভাঙ্গরে আসার খবর ছিল আগেই, তাই আগে থেকেই বিধান নগর পুলিশের তরফ থেকে ব্যারিকেড করে রাখা হয়েছিল নিউ টাউন আর্ট কলেজের কাছে। সেই ব্যারিকেডের বাইরেই আটকে নওশাদের গাড়ি। বাধা পেয়েও সেখানেই অপেক্ষা করছেন তিনি।
এই বাধায় ক্ষোভ উগরে নওশাদ বলেন, ‘ভাঙরের ১ লাখ ৯ হাজারের বেশি মানুষ আমায় ভোট দিয়েছে। ভাঙ্গড়ের মানুষের রায়কে অসম্মান করছে শাসক। নির্বাচনী জনপ্রতিনিধি তাঁর নির্বাচন কেন্দ্রে ঢুকতে পারছে না। প্রথমে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে আটকে রাখে। কিন্তু কোন কারণ জানায় না। আমি বিধায়ক, আমার নির্বাচনী কেন্দ্রে যাওয়ার অধিকার আছে। আমার বিধানসভা এলাকায় ঢোকার সেখানে পুলিশ কোন কারণ ছাড়াই আটকে রেখে দিয়েছে। শাসক ভয় পেয়েছে, এইভাবে যদি প্রশাসন ভোটের আগে তৎপর হত, তাহলে আজ এই পরিস্থিতি হত না । সুকৌশলে আমার গতিবিধি আটকানোর চেষ্টা চলছে। এলাকায় যারা আতঙ্কের মধ্যে আছে তারা যেনও আতঙ্ক থেকে মুক্তি পায়। তার জন্য শান্তির বার্তা নিয়ে একজন জনপ্রতিনিধি ছুটে যাচ্ছে, তাকেও আটকানো হচ্ছে। ‘ একইসঙ্গে নিজের নির্বাচনী এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে তল্লাশিরও দাবি জানান তিনি।
নওশাদের অভিযোগ, সেইদিন পুলিশ বাইরে গুলি চালিয়ে একাধিক মানুষকে মেরেছে,কিন্তু কাউন্টিং সেন্টারের মধ্যে পুলিশের তাণ্ডব অনেকেই জানে না।সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সব জানাব। এখন ১৪৪ করে ভিতরে যে কী তান্ডব চালাচ্ছে তা জানা নেই। পুলিশ জানায়, SDO বারুইপুরের কাছ থেকে নির্দেশ আছে ১৪৪ ধারা জারির। নিউটাউনের সমস্ত নাকা পয়েন্টে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। তাই ভাঙড়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে কিছু ব্যক্তির প্রবেশে অনুমতি আছে। সেই নামের লিস্ট বলা যাবে না বলে জানিয়ে দেন পুলিশ আধিকারিক।