একাধিক বাড়ি ও ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে থেকেই এলাকার তৃণমূলের নতুন ও পুরাতন দুই গোষ্ঠীর দুই নেতা শেখ মইদুল ও শেখ বক্তিয়ারের মধ্যে ঝামেলা চলছিল। সেইরকম বৃহস্পতিবার রাতেও দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গণ্ডগোল বেঁধে যায়।এলাকার মানুষ কিছু বুঝে ওঠার আগেই দুপক্ষের মধ্যে ব্যাপক বোমাবাজি ও পাথর বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। নির্বিচারে বাড়ি ভাঙচুর চলে। সংঘর্ষ চলাকালীন অ্যাসিডের বোতলও ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে উলুবেড়িয়ার SDPO রাঘব এস-এর নেতৃত্বে শ্যামপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
নামানো হয় র্যাফ। ঘটনার পর গভীর রাত পর্যন্ত ধড়পাকড় চালায় পুলিশ। সংঘর্ষের ঘটনায় ইতিমধ্যে ১৩ জনকে আটক করেছে শ্যামপুর থানার পুলিশ। এলাকা থমথমে। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এই বিষয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেছেন, ‘এই ঘটনা পুরোপুরি তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে হয়েছে।
শেখ মইদুল ও শেখ বক্তিয়ারের দলের মধ্যে ঝামেলা বেশ অনেকদিনের। বৃহস্পতিবার রাতে এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক ঝামেলা বাঁধে। তারপরই শুরু হয়ে যায় মারামারি, বোমাবাজি, পাথর ছোড়াছুঁড়ি। আমরা ভয়ে বাড়ির ভিতরে ঢুকে যাই সবাই। এমন আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায় যে আমরা কেউই বাড়ি থেকে আর বেরোনোর সাহস পাচ্ছি না’।
উল্লেখ্য, উলুবেড়িয়া মহকুমায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বহু বছরের পুরনো সমস্যা। জেলা স্তরের নেতারা অনেক চেষ্টা করেও এই গোষ্ঠীকোন্দল মেটাতে পারেননি। এই বিষয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
কিন্তু এতসব হুঁশিয়ারি বা চেষ্টাতেও যে কাজ হয়নি, বৃহস্পতিবার রাতের ঘটনাতেই তা প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে বলে মোট দিচ্ছেন জেলার রাজনৈতিক নেতারা। তাই পঞ্চায়েত ভোটে ব্যাপক জয় পেলেও, তৃণমূলের মাথাব্যথা থেকেই যাচ্ছে।