গত শনিবার ভোটের দিন কংগ্রেস, CPIM ও BJP-র আশ্রীত দুষ্কৃতীরা তাঁকে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ ওঠে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে কোপানো হয় বলে অভিযোগ। প্রসঙ্গত গত সোমবার মৃতের আরও এক ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে চিকিৎসাধীন অবস্থায়। তার নাম মইদুল শেখ। একই পরিবারের দুই ভাই হিংসার বলি হওয়ার ঘটনা এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই প্রথম বলে জানা গিয়েছে।
এই বিষয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘শনিবার পঞ্চায়েত ভোটের দিন তাঁকে মারধর করা হয়। কিছু দুষ্কৃতী তাঁর উপর এলোপাথাড়ি ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এরপর তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে কলকাতাতে রেফার করা হয়।
শুক্রবার সকালে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে’। সইবুর এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত। বেশ কিছুদিন ধরে হাসপাতালে তিনি মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিলেন। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শোক আরও গভীর হয়েছে, কারণ কয়েকদিন আগে তাঁর ভাইয়েরও মৃত্যু হয় চিকিৎসাধীন অবস্থায়। ভোট পরবর্তী হিংসায় তিনি আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
আর এই ঘটনার পরেই ফের একবার মুর্শিদাবাদ জেলায় ভোটের আগে ও ভোতের পরে হওয়া হিংসা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। জেলার মানুষ প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন, আর কত লাশ গুনতে হবে এই ভোটের আবহে? সব রাজনৈতিক দল মিলিয়ে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু মৃত্যুর সাক্ষী থেকেছে মুর্শিদাবাদ জেলা।
পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার পর থেকেই লেগে রয়েছে মৃত্যু মিছিল। সইবুর রহমান সেই তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন। কিন্তু মৃত্যু মিছিল এখানেই শেষ কিনা সেই নিয়ে কোনও প্রশ্নের উত্তর দিতে পারছেন না কেউই। এই পরিপ্রেক্ষিতে জেলা ও রাজ্য প্রশাসনকে আরও কড়া হাতে ভোট পরবর্তী হিংসা দমন করার বার্তা দিচ্ছেন সমাজের সকল স্তরের মানুষ।