জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের ওই তরুণীর নাম সপলা আখতার। মোবাইলে শিলিগুড়ির বাসিন্দা এক যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয়। এরপর সেই সম্পর্কে প্রেম অবধি গড়ায়। সেই প্রেমের টানে বাংলাদেশ থেকে শিলিগুড়িতে চলে এসেছিলেন যুবতী। কিন্তু, যাকে বিশ্বাস করে একদেশ থেকে এদেশে এসেছিলেন তাঁর আসল রূপ জানার পর পালাতে গিয়ে গ্রেফতার হতে হল। যুবতীর দাবি, শিলিগুড়িতে আসার পর তিনি জানতে পারেন যে তাঁকে পাচার করে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর প্রেমিকের। এরপর একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা উদ্ধার করে যুবতীকে। কিন্তু, অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে যুবতীকে গ্রেফতার করেছে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রধাননগর থানা।
যুবতীকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর জানা গেল আসল কারণ। পুলিশকে তরুণী জানিয়েছে, প্রায় আড়াই মাস আগে বাংলাদেশ থেকে শিলিগুড়িতে এসেছিল সে। মোবাইলে প্রেমিকের সঙ্গে নিয়মিত কথা কথা হতো। এরপরই প্রেমিক তাঁকে এদেশে আসার কথা বলেছিল। বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে সীমান্ত পার করে যুবতী এদেশে প্রবেশ করে। শিলিগুড়িতে প্রেমিকের সঙ্গেই থাকতে শুরু করে সে। কয়েকদিন আগে সে জানতে পারে তাঁকে প্রেমিক অন্য জায়গায় পাচার করে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে এবং তাঁকে বিক্রি করে দেওয়া হবে। এই কথা শুনেই তাঁর পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যায়। এরপর নিজেকে বাঁচাতে ভয় সে পালিয়ে শিলিগুড়ি জংশন এলাকায় ঘোরাঘুরি করছিল। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যরা যুবতীকে উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেয়। অবৈধভাবে এদেশে আসার জন্য প্রধাননগর থানার পুলিশ যুবতীকে গ্রেফতার করেছে। পাশাপাশি ওই যুবকের খোঁজেও তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশের অনুমান, এই তরুণী অভিযুক্তের প্রথম শিকার নন। এভাবে প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে পাচার আরও কোনও তরুণী বা একাধিক তরুণীকে করা হয়েছে। ধৃত তরুণীকে ফাঁসানো ওই প্রেমিকের খোঁজ মিললে মেয়েদের বিক্রি করে দেওয়ার বা পাচারের একটা বড় চক্রের হদিশ মিলতে পারে বলে সন্দেহ তদন্তকারীদের।