বিষয়টি নজরে আসতেই ঘটনাস্থলে যায় জেলা বিজেপির দুই সহ সভাপতি জীবন রায় ও মানস সরকার, স্থানীয় বিজেপি নেতা রজত ঘোষ সহ অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্বরা। এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় কুমারগঞ্জ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। যায় কেন্দ্রীয় বাহিনীও। পুলিশ প্রশাসনের উপস্থিতিতে উদ্ধার হয় ৪০ টিরও বেশি ব্যালট পেপার। বিজেপির দাবি, উদ্ধার হওয়া ব্যালট পেপারগুলির অধিকাংশতেই বিজেপিতে ভোট দেওয়া ছিল। বিষয়টি জানাজানি হতেই ধাদলপাড়া ডাম্পিং গ্রাউন্ডের সামনে বিক্ষোভ বিজেপি কর্মী সমর্থকদের।
বৃহস্পতিবার কুমারগঞ্জের আত্রেয়ী নদীর ধারে প্রচুর ব্যালট উদ্ধার হয়। এই নিয়ে জলঘোলা শুরু হতে না হতেই ফের এলাকায় চাঞ্চল্য। গোপন সূত্রে বিজেপি নেতৃত্বরা জানতে পারেন ধাদলপাড়া বর্জ্য নিষ্কাশন কেন্দ্রে ভোটের ব্যালট পেপার ফেলা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ব্যালট পেপার গুলিতে ছাপ মারা রয়েছে। যার বেশিরভাগেতেই বিজেপির দলীয় চিহ্ন ছিল। কিছু বামেদের এবং সামান্য কিছু তৃণমূলের দলীয় চিহ্নে ছাপ রয়েছে। গণনা শেষ হওয়ার পরও কি করে এত ব্যালট পেপার উদ্ধার হচ্ছে তা নিয়ে বিজেপি প্রশ্ন তুলেছে।
এবিষয়ে বিজেপি জেলা সহ সভাপতি মানস সরকার বলেন, ‘ভোটের নামে প্রহসন হয়েছে। গতকাল নদীর ধার থেকে ব্যালট উদ্ধারের পর আজ আবার ডাম্পিং গাউন্ড থেকে ব্যালট উদ্ধার হয়েছে। এভাবেই বিজেপি প্রার্থীদের হারানো হয়েছে। ব্যালট বাইরে থাকার কথা নয়৷ এর জবাব প্রশাসন কে দিতে হবে।’
এবিষয়ে তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি সুভাষ চাকি বলেন, ‘ব্যালটের নমুনা প্রিন্ট করে বিজেপি চক্রান্ত করে করছে। কেউ চুরি করলে কি রাস্তায় ফেলে দেবে? বিজেপি একটা নাটক তৈরি করার চেষ্টা করছে। এই সব করে এলাকায় বিশৃঙ্খলা তৈরি করার চেষ্টা করছে।’
এ বিষয়ে দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা বলেন, ‘ ব্যালট পেপারগুলি পুলিশ সিজ করেছে। সেগুলি বৈধ কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে ওই যে বুথের ব্যালট পেপারগুলি পাওয়া গিয়েছে। সেগুলি সিল করে রাখা হয়েছে। কোথা থেকে এগুলি এল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’