Anubrata Mondal : তিহার জেল আনরিচেবল, হলোই না ভার্চুয়াল শুনানি – the virtual hearing did not take place as the special cbi court in asansol could not contact tihar jail authorities


এই সময়, আসানসোল: ৩০ জুনের পর ফের ১৪ জুলাই। পরপর দু’দিন তিহার জেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কোনও ভাবেই অনলাইন মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারল না আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত। কারণ হিসেবে জানা গিয়েছে, তিহার জেলের ৭ নম্বর সেলের ফোন, যার অডিয়ো-ভিডিয়ো মাধ্যমে ভার্চুয়াল শুনানি হয়, সেটি বিকল হয়ে গিয়েছে। যার জেরে এই দু’দিনই গোরু পাচার মামলায় ভার্চুয়াল শুনানি হলো না বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর প্রাক্তন দেহরক্ষী সেহগল হোসেনের।

Anubrata Mondal : প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতিতেও বয়ান রেকর্ড কেষ্টর? আর্জি আদালতে
যার জেরে এদিনও নতুন করে অনুব্রতর হয়ে তাঁর জামিনের আবেদন করতে পারলেন না তাঁর আইনজীবী সোমনাথ চট্টরাজ। সেহগলের তরফে কোনও আইনজীবীকে এদিন শুনানির সময়ে এজলাসে দেখা যায়নি। শেষে বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী নির্দেশ দেন, এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ১০ আগস্ট। একইসঙ্গে পরপর দু’দিন ভার্চুয়াল শুনানি না-হওয়ায় আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতের তরফে এদিন শুনানি শেষে তিহার জেলের সুপারকে একটি মেল পাঠানো হয়। তাতে ভার্চুয়াল শুনানির বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখার জন্য বলা হয়েছে।

Anubrata Mondal Daughter : গোরু পাচারের টাকা কোথায় বিনিয়োগ করা ঠিক হবে! বাবাকে বলতেন সুকন্যা, দাবি ED-র
এদিন অবশ্য সিবিআইয়ের তরফে অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল, সেহগল হোসেন ও তাঁর স্ত্রী ও মা, অন্য দিকে, এনামুল হক ও তাদের ঘনিষ্ঠদের নামে ও বেনামে একাধিক জমির তথ্য বিচারকের কাছে জমা দেওয়া হয়। বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে আর্থিক লেনদেন সমেত নতুন তথ্যগুলি কেস ডায়েরি হিসেবে জমা দেওয়া হয়েছে। বিচারকের বিশদে জানতে চাইলে সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিক সুশান্ত ভট্টাচার্য জানান, বেশ কিছু জমির হদিশ পাওয়া গিয়েছে যেগুলি কম দাম আবার কখনও সেগুলি বেশি দাম দেখিয়ে কেনা হয়েছে।

এছাড়া নির্মীয়মান দু’টি পেট্রল পাম্পের জমির তথ্যও দেওয়া হয়েছে। বিচারক তখন তদন্তকারী আধিকারিকের কাছে জানতে চান বীরভূমের সংশ্লিষ্ট জমির রেজিস্ট্রারের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হয়েছে কিনা? উত্তরে জানানো হয়, মামলার অন্য তদন্ত ও হাই কোর্টে একাধিক মামলা থাকায় ওই বিষয়টি দেখা সম্ভব হয়নি। তবে শীঘ্রই তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান সিবিআইয়ে তদন্তকারী আধিকারিক।

এদিন সিবিআইয়ের তরফে ৫০ লক্ষ টাকার মতো সম্পত্তির হিসেব দেওয়া হয়েছে। সিবিআই জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত যা সম্পত্তি পাওয়া গিয়েছে তাতে ১৫ একরেরও বেশি জমি আছে। সুকন্যা মণ্ডলের ৯৩ শতাংশ ও অনুব্রতর পরিচারক বিদ্যুৎবরণ গায়েনের ৭ শতাংশ শেয়ার যাচ্ছে এমন একটি কোম্পানিতেও আর্থিক লেনদেনের কথা উল্লেখ করেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিক। এর পাশাপাশি খন্দকার কনস্ট্রাকশন নামে একটি কোম্পানিতে প্রচুর নগদ টাকা জমা হয়েছে।

তার তথ্য সিবিআই আদালতে জমা দিয়েছে। ওই কোম্পানির মালিক সেহগলের শ্যালক বলে জানা গিয়েছে। নতুন একটি চালকলের সন্ধান পেয়েছে সিবিআই। এই চালকলের সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের চালকলের ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল বলে দাবি তদন্তকারী সংস্থার। নতুন তথ্য নিয়ে তিহার জেলে থাকা অনুব্রত ও সেহগলকে জেরা করা হয়েছে কিনা তা জানতে চান বিচারক। সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়, জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। তার প্রক্রিয়া চলছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *