দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাঠালিয়াতে নিহত তৃণমূল কর্মীর শেষকৃত্যে অংশ নিতে যাওয়ার সময় সওকত মোল্লা, আরাবুল ইসলামদের আটকাল পুলিশ। ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে, এই কারণে পুলিশ আটকে দেয় তাঁদের। এরপরেই রাস্তায় বসে পড়েন সওকত-আরাবুলরা। এই প্রসঙ্গে সওকত মোল্লা বলেন, ‘আমাদের বুথ সভাপতিকে আইএসএফ-এর সমাজবিরোধীরা মারধর করেছিল। আজ সকালে মারা যান। তাঁর দেহ এসেছে। আমরা তাঁর শেষকৃত্যে যোগ দিতে যাচ্ছি। কিন্তু পুলিশ বলছে, এখানে ১৪৪ ধারা জারি, এখান দিয়ে যেতে দেব না। ১১ তারিখ রাত্রে যে ঘটনা ঘটল, আইএসএফ-এর সমাজবিরোধীরা পুলিশের ওপর এলোপাথারি গুলি চালাল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও তাঁর নিরাপত্তারক্ষী গুলিবিদ্ধ হলেন, সেই ঘটনা আলাদা, আর এই ঘটনা আলাদা। আইএসএফ-এর সমাজবিরোধীরা পরিকল্পতিভাবে খুন করেছে। আমরা তাঁর শেষকৃত্যে অংশে নেব, পুলিশ যেতে দিচ্ছে না। তাই আমরা এখানে বসে পড়েছি। পরিবারের লোকেরা বলছেন, আমরা না গেলে শেষকৃত্য করবে না। আমার তাঁদের বুঝিয়ে পাঠালাম। দেখি প্রশাসন কী করে।’
অভিযোগ, গত ৭ তারিখ শেখ মোসলেম নামে তৃণমূলের ওই বুথ সভাপতির ওপর হামলা চালায় আইএসএফ আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। বেধড়ক মারধর করা হয়। তাতে বুকের পাঁজরের হাড় ভেঙে যায় তাঁর। মাথায় প্রায় ১৪টি সেলাই পড়ে। প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখান থেকে আর জি করে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর স্থানান্তরিত করা হয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে। আজ সকালে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।
অভিযোগ, গত ৭ তারিখ শেখ মোসলেম নামে তৃণমূলের ওই বুথ সভাপতির ওপর হামলা চালায় আইএসএফ আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। বেধড়ক মারধর করা হয়। তাতে বুকের পাঁজরের হাড় ভেঙে যায় তাঁর। মাথায় প্রায় ১৪টি সেলাই পড়ে। প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখান থেকে আর জি করে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর স্থানান্তরিত করা হয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে। আজ সকালে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।
এই ঘটনায় কাশিপুর থাকায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মৃতের স্ত্রী। এই ঘটনায় আইএসএফ-এর বিরুদ্ধে যাবতীয় অভিযোগ তৃণমূলের। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে আইএসএফ। পালটা ১৪৪ ধারা জারি থাকা সত্ত্বেও সওকত মোল্লা কী ভাবে ভাঙড়ে সভা করলেন, সেই প্রশ্ন তুলেছেন এলাকার বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি।
প্রসঙ্গত, সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর থেকে প্রায় রোজই সংবাদ শিরোনামে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়। মনোনয়ন পর্ব থেকে শুরু হয় অশান্তি। নির্বাচন পর্ব যত এগোয় ততই উত্তপ্ত হতে থাকে এলাকা। ভোট মিটে যাওয়ার পরেও কার্যত শান্তি ফেরেনি ভাঙড়ে। গোটা নির্বাচন পর্বে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত মৃতের তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন শেখ মোসলেম। পরিস্থিতি যাতে কোনওভাবেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে না যায়, তার জন্য এলাকায় জারি ১৪৪ ধারা।