কিন্তু পর্যাপ্ত বৃষ্টির অভাবে সেই বীজতলা বাঁচিয়ে রাখাই চাষিদের কাছে অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সূত্রের খবর, মুকুটমিনপুরের কংসাবতী সেচ প্রকল্প ও DVC-র সৌজন্যে জেলার একটা বড় অংশ ‘সেচ সেবিত’ এলাকা হিসেবে ঘোষিত হলেও এখনও বৃষ্টির উপরেই ভরসা করতে হয়।
কিন্তু চলতি বছরে পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় মাথায় হাত পড়েছে জেলার কৃষিজীবি মানুষের। কুচিল বাউরি, বিমান সিংহ, সুধীর মণ্ডলদের এখন চূড়ান্ত দুরাবস্থা। কুচিল বাউরি বলেন, ‘মূলতঃ বৃষ্টির জলের উপর নির্ভর করেই আমরা চাষাবাদ করি।
এই বছর সেভাবে বৃষ্টি হয়নি, তার মধ্যেও অতিরিক্ত খরচে পাম্পের জলের ব্যবস্থা করে কোনোরকমে ধানের বীজ তলা বাচিঁয়ে রেখেছি কেউ কেউ বা ধান রোওয়ার কাজ শুরু করেছি। এরপর বাকিটা দৈব ভরসা’। প্রচুর খরচ আর অমানুষিক পরিশ্রম করে লাগানো ধান শেষ পর্যন্ত বাড়িতে পৌঁছবে কিনা সে নিয়ে যথেষ্ট সন্দিহান বলে তাঁরা জানান।
জেলা সহ কৃষি অধিকর্তা নারায়ণ চন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘বাঁকুড়া জেলায় জুন ও জুলাই মাসেই ৩৫-৪০ শতাংশ বৃষ্টিপাতের ঘাটতি আছে। এরপরেও ৮০ শতাংশ বীজতলা তৈরি। এই বছর বাঁকুড়া জেলায় ৩ লাখ ৮০ হাজার হেক্টর ধান রোপনের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। তারমধ্যে এখনও পর্যন্ত ১৩০০ হেক্টর জমিতে বীজতলা রোপন করা হয়েছে’। জুলাই মাসে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হলে সহজেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হবে বলে তিনি জানান।
সুধীর মণ্ডল নামের এক কৃষক এই বিষয়ে বলেন, ‘শুধু এই বছর বলে না, বেশ কয়েক বছর ধরেই জেলায় বৃষ্টির ঘাটতি দেখা দিয়েছে। যে সময়ে চাষাবাদের জন্য বৃষ্টির দরকার, সেই সময়ে বৃষ্টি হচ্ছে না। ফলে প্রত্যেক বছরেই চাষের ক্ষতি হচ্ছে। এর জন্য বিকল্প ব্যবস্থার দরকার’।