অফিস টাইম বা তাড়াহুড়োর মুহূর্তে অনেকে সময়ই মেট্রোতে উঠতে গিয়ে ঘটে বিপত্তি। অসাবধানতা বা ভিড়ের চাপে মেট্রোর লাইনে পড়ে যায় মোবাইল ফোন বা মানিব্যাগের মতো গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী। এদিকে মেট্রোর লাইনের হাইভোল্টের বিদ্যুতের কথা কারও অজানা নয়। তাই লাইনে নেমে গুরুত্বপূর্ণ সেই সামগ্রিক তুলতে গেলে চলে যেতে পারে প্রাণ। কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ছাড়া উপায় নেই।
মোবাইল হোক বা মানিব্যাগ অথবা হেডফোন, মেট্রোর লাইনে গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী পড়ে গেলে কী করবেন? অবশেষে এই নিয়ে মুখ খুলল কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষ। কলকাতা মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র এই সময় ডিজিটালকে বলেন, ‘মেট্রোর লাইন বিপজ্জনক একথা যাত্রীদের প্রায় সকলেই জানেন। কোনও গুরুত্বপূর্ণ জিনিস লাইনে পড়ে গেলে যাত্রীরা সংশ্লিষ্ট স্টেশনের অন ডিউটি স্টেশন ম্যানেজারকে গোটা বিষয়টি জানতে পারেন। যদি সেই জিনিস তোলা সম্ভব হয় তবে, অলনাইন ব্লক করে উনি নিশ্চয়ই সেটা তোলার বন্দোবস্ত করবেন। সাধারণত এই সব ক্ষেত্রে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের সবসময় সাহায্য করার চেষ্টা করে।’
অন্যদিকে কলকাতা মেট্রোর সময়সীমা ওই সময়ে মেট্রো চলাচল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অসন্তোষ রয়েছে যাত্রীদের একাংশের। বেশ কয়েকদিন ধরে রাতের মেট্রো চলাচলের সময়সীমা একঘন্টা বাড়ানোর দাবিতে চালু হয় একটি অনলাইন পিটিশন। ওই পিটিশনের দাবি করা হয়, মেট্রোর সময়সীমা আরও একঘন্টা বাড়লে সাধারণ যাত্রীদের পাশাপাশি মহিলারাও নিরাপদে যাত্রা করতে পারবেন। সম্প্রতি ওই অনলাইন পিটিশনটি মেট্রো রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হয়।
পিটিশন নজরে আসার পর এই নিয়ে মুখ খোলে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। তবে একই সঙ্গে মেট্রোর তরফে সীমিত কর্মী সংখ্যার কথা জানিয়ে বিষটিকে কঠিন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ একঘণ্টা পরিষেবার সময়সীমা বৃদ্ধির প্রস্তাব প্রসঙ্গে জানিয়েছে, লিখিতভাবে প্রস্তাব এলে আলোচনা করে এই নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
