এলাকার কচিকাঁচা থেকে বৃদ্ধ সকল বয়সের মানুষ তখন একবার উঁকি দিয়ে দেখার জন্য প্রস্তুত। এলাকায় জমে যায় ভিড়। বাড়ির ছাদ, আশপাশের পাঁচিল সব জায়গাতে তখন ভরে ওঠে এলাকার যুবকদের ভিড়ে। সাউন্ড সিস্টেমে তখন তারস্বরে বাজছে একের পর এক চটুল হিন্দি গান। আর সেই গানেই প্রথমে আমডাঙার শশিপুর গ্রামের শাসক দলের কর্মী সমর্থকদের দেখা যায় উদ্দাম নৃত্যের সঙ্গে আবির খেলতে।
ধীরে ধীরে জমে ওঠে বিজয় উৎসব। এরপরেই দেখা যায় চটুল গানে কোমর দুলিয়ে নাচতে দুই রূপান্তরিত তৃতীয় লিঙ্গের স্বল্পবসনা নর্তকীদের। বিভিন্ন কুরুচিকর অঙ্গভঙ্গির মধ্যে দিয়েই এলাকার যুবকদের মন জয় করতে একের পর এক হিন্দি গানে নাচতে দেখা যায় তাদের।
আর এভাবেই ভোটে জিতে এলাকাবাসীদের মনোরঞ্জন করতেই এই ব্যবস্থাপনা ছিল চণ্ডীগড় পঞ্চায়েতের ৭৫৭ নম্বর বুথের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী আজমিরা খাতুনের। শাসক দলের এহেন বিজয় উৎসবকে ঘিরে উঠেছে প্রশ্ন। যদিও আজমিরা খাতুন বলেন, ‘ভোটে জেতার পর এলাকার কর্মীদের কিছু আবেদন ছিল।
সেটাই রাখার চেষ্টা করেছি। প্রত্যেকদিন এসব হয়না’। বিরোধীরা বিষয়টিকে নিয়ে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছেন। অপসংস্কৃতির ধারাকে বয়ে নিয়ে যাচ্ছে শাসক দল, বলেও মন্তব্য করেছেন স্থানীয় বিরোধী নেতৃত্বরা। মাত্র ১৯৯ ভোটে জয়লাভ করেছেন তৃণমূলের এই প্রার্থী।
আর তাই পরিবার-পরিজনসহ দলীয় কর্মী সমর্থকদের আনন্দ দিতেই এই আয়োজন বলে জানিয়েছেন তৃণমূলের টিকিটে এগিয়ে জয়ী হওয়া এই প্রার্থী। তবে ইতিমধ্যেই সোশাল মিডিয়ায় এই বিজয় উৎসবের ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তেই উঠেছে সমালোচনার ঝড়। তবে ৫১ বছর পর শশীপুর গ্রামে ফুটল জোড়া ফুল।
চণ্ডীগড় পঞ্চায়েতের ২৫ টি আসনের মধ্যে ২৪ টি তৃণমূলের দখলে থাকলেও, একটি আসন পেয়েছে বামেরা। তবে এভাবে দলীয় নির্দেশ অমান্য করে বিজয় উৎসব করার কারণে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে দল এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।