শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন, গৃহবধূর মৃতদেহ হাসপাতালে ফেলে পালাল শ্বশুরবাড়ির লোকজন


সুভাশিস মণ্ডল: দুপুরবেলা বাড়িতে এল উড়ো ফোন। সেই ফোন পেয়েই হাসপাতালে ছুটলেন গৃহবধূর বাড়ির লোকজন। গিয়ে দেখেন হাসপাতাল থেকে মৃতদেহ থানায় নিয়ে চলে গিয়েছে পুলিস। অন্যদিকে, সেখানে হাজির গৃহবধূর অন্যান্য অত্মীয়দের দাবি, মৃত গৃহবধূর দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল। মৃত্যু যথেষ্ঠই রহস্যজনক।

আরও পড়ুন-সন্ত্রাস বন্ধ না হলে রাজ্যসভার নির্বাচন বয়কট করব, হুঁশিয়ারি তৃণমূল বিধায়কের 

বাগনান থানার কল্যাণপুরের মহিবুল মোল্লার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল শ্যামপুরের বাসিন্দা সালমা খাতুনের। আত্মীয়দের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পণের দাবিতে সালমার উপরে অত্যাচার চালাতো স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। বেশ কয়েকবার বাপের বাড়ি থেকে টাকা এনেও দিয়েছে সালমা। কিন্তু তাতেও অশান্তি থামেনি। সালমার উপরে অত্যাচার করতো শ্বশুরবাড়ির লোকজন। সেইকথা বাপের বাড়িতে লোকজনকেও জানিয়েছিলেন সালমা। বাপের বাড়ি থেকে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হয় কয়েকবার।

গতকাল দুপুরে সালমার শ্বশুরবাড়ির পাশের এক জন ফোন করে সালমার ভাইকে। বলা হয় সালমা অসুস্থ। তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বাগনান হাসপাতালে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি খবর দেন তাঁর আত্মীয়দের। তড়িঘড়ি হাসপাতালে গিয়ে আত্মীয়রা দেখতে পান সালমা মারা গিয়েছে। তা র মৃতদেহ পড়ে রয়েছে হাসপাতালে। তার শরীরে একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন। আশেপাশে নেই শ্বশুরবাড়ির লোকজন। 

এদিকে, সালমার বাপের বাড়ির লোকজন এসে দেখতে পান মৃতদেহ থানায় নিয়ে চলে গিয়েছে পুলিস। সালমার ভাইয়ের দাবি, মাকে সাদাসিধে পেয়েছে পুলিস কোনও একটি কাগজে সই করিয়ে নিয়েছে। কী কাগজে সই করিয়ে নেওয়া হয়েছে তা পুলিস দেখাতে চায়নি। এমনকি সালমার মৃত্যু নিয়ে থানায় অভিযোগ করতে গেলে পুলিস সেই অভিযোগ নিতে গড়িমসি করে। পরে একটি ডাইরি নেওয়া হয়। 

পরিবারের অভিযোগ, সালমার স্বামী তার চার বছরের মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যায়। ওই ঘটনার পর পুলিসের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে এলাকার মানুষজন। শেষপর্যন্ত মৃতদেহ উলুবেড়িয়া শরত্চন্দ্র মেডিক্যাল কলেজে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *