জানা গিয়েছে, বীরভূমের দুবরাজপুর থানা এলাকার শিমূলডিহি গ্রামের বাসিন্দা সূরেয়া খাতুনের সঙ্গে বিয়ে হয় সদাইপুর থানার ঘুনসীমা গ্রামের বাসিন্দা শেখ আতিকুরের। তারপর ছিল তাঁদের বৌভাতের অনুষ্ঠান। সেখানে যাওয়ার পরেই আক্রান্ত হন কনেপক্ষের লোকজন। মারধর করা হয় তাঁদের।
এই বিষয়ে কনেপক্ষের লোকেরা জানাচ্ছেন, কন্যাযাত্রী হিসেবে ২৫ জনকে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল তাঁদের। কিন্তু ২৫ জনের পরিবর্তে ৩০ জনকে নিয়ে যান তাঁরা। এরপর খেতে বসার সময় শুরু হয় বচসা। অভিযোগ, এরপরেই তাঁদের ওপর হামলা চালায় বরপক্ষের লোকজনেরা। লোহার রড, বাঁশ, ইট ইত্যাদি দিয়ে মারধর করা হয়। কনেপক্ষের এক মহিলাকে তাঁরই পরনের কাপড় দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে খুনের চেষ্টা করা হয় বলেও অভিযোগ। আরও একজনের থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয় ৪,৭০০ টাকা।
এদিকে চিৎকার চেঁচামেচি আশেপাশের লোকজন ছুটে যান। তাঁরাই গিয়ে কন্যাযাত্রীকে উদ্ধার করেন। তড়িঘড়ি আহতদের হাসপাতালে পাঠান হয়। মারধরে বেশকয়েকজনের হাত ভেঙেছে। এছাড়াও আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন। কনেযাত্রীর লোকজন আরও জানাচ্ছেন, বিয়ের দিন বরযাত্রী ৫০ জন যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার পরিবর্তে বরের বাড়ি থেকে ৮৫ জন যায়। তাদের প্রত্যেককেই খাওয়ানো হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা ৫ জন বেশি নিয়ে আসতেই বেধড়ক মারধর করা হয়েছে।
ঘটনায় ইতিমধ্যেই সদাইপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বর শেখ আতিকুল, বরের বাবা শেখ কালো-সহ শেখ শাকির, শেখ বাদশা, শেখ রাজু, শেখ রকিব, মমতা বিবি, রেশমা বিবি, শেখ আনিসুরের নামে করা হয়েছে অভিযোগ। গোটা ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার ও উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানাচ্ছেন কনেযাত্রীরা।
এদিকে ঘটনায় সূরেয়া খাতুনের ভবিষ্যৎ নিয়েও দুশ্চিন্তায় তাঁর পরিবার। কারণ যে পরিবারে ৫ জনকে অতিরিক্ত খাওয়ানো নিয়ে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে, সেখানে মেয়ের নিরাপত্তা নিয়ে রীতিমতো উদ্বগ্ন তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে সূরেয়ার উপযুক্ত নিরাপত্তারও দাবি জানাচ্ছে তাঁর বাপের বাড়ির সদস্যরা। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। বরের বাড়ির নিন্দায় সরব পাড়া প্রতিবেশীরাও।