Chandrayaan 3 Update: চাঁদের দেশে পাড়ি চন্দ্রযান ৩-এর, অবদান রয়েছে বীরভূমের চাষীর ছেলেরও – birbhum farmer son is a scientist at isro bijay kumar dai also a part of chandrayaan 3 mission


ইতিহাস গড়তে চাঁদে পাড়ি চন্দ্রযান ৩-এর। ১৪ জুলাই স্বপ্ন আশা নিয়ে মহাকাশে পৌঁছে গিয়েছে সে। অদম্য গতিতে চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছনোই এখন তার পাখির চোখ। সেই চন্দ্রযান-৩ তৈরিতে অবদান রয়েছে বাংলার একাধিক ভূমিপুত্রের। সেই তালিকায় রয়েছেন বীরভূমের চাষির বেটা বিজয় কুমার দাইও। বাবা ফলান সোনার ফসল। ছেলে গড়েন দেশের অগ্রগতির স্বপ্ন।

ইতিমধ্যেই উৎক্ষেপণ সম্পন্ন হয়েছে চন্দ্রযান ৩। আর তার সফল উৎক্ষেপণের যজ্ঞে অংশগ্রহণ করেছে বীরভূমের ভূমিপুত্র বিজয় কুমার দাই। বীরভূমের মল্লারপুরের এক প্রত্যন্ত গ্রাম দাইপাড়ায় বাড়ি তার। বাবা নারায়ণ চন্দ্র দাই পেশায় চাষী। স্বাভাবিকভাবেই জেলার ভূমিপুত্র চাষির ছেলের এই সাফল্যে গর্বিত বীরভূমবাসী।

Chandrayaan 3 : চন্দ্রাভিযানে সামিল বাংলার দুই ‘স্টার’

বিজয় কুমার দাই ২০০০ সালে দক্ষিণ গ্রাম জগৎ তারিণী বিদ্যায়তন থেকে 90% নম্বর পেয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করেন। পরে বেলুড় মঠ আশ্রম বিদ্যালয় থেকে উচ্চমাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হওয়ার পর কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিদ্যায় স্নাতক এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর তিনি চাকরি পান ইসরোয়। চন্দ্রযান ২ এর উঠক্ষেপণেও অংশগ্রহণ করেছিলেন বিজয়। তারপর এবার চন্দ্রযান ৩এর উৎক্ষেপণেও শামিল হলেন তিনি।

ISRO: ছিলেন চন্দ্রযান ২-এর গুরুদায়িত্বে, হুগলির ছেলের নয়া অভিযানের সাফল্য কামনায় পরিবার

বাবা নারায়ণ চন্দ্র দাই বলেন, ” চাষবাস করেই ছেলেদের পড়িয়েছি । বড় ছেলে প্রাইমারি স্কুলে চাকরি পেয়েছে। মেজো ছেলে বিজয় প্রথম চান্সেই ও ইসরোতে চাকরি পেয়ে যায় । এখন বছরে দুর্গাপুজোর সময় একবার আসে বাড়িতে । তবে প্রতি মাসে খরচা পাঠায় । আর ওর এই কৃতিত্বে খুশি গ্রামবাসীরাও । ” তবে ছোট ছেলের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তিত নারায়ণ চন্দ্র দাই। তিনি বলেন, ” বড় ছেলে শিক্ষক। মেজো ছেলে বিজ্ঞানী, অংশগ্রহণ করেছেন চন্দ্রযান দুই এবং তিন এর উৎক্ষেপণে। তবে বর্তমান যা পরিস্থিতি তাতে ছোট ছেলে পড়াশুনা করেও চাকরি পাবে না। “

Chandrayaan-3 Mission : চন্দ্রযান-৩ উৎক্ষেপণে নারীশক্তি, বিজ্ঞানী ঋতুকে চেনেন?

বীরভূমের ভূমিপুত্র বিজ্ঞানীর বাবার গলায় ঝরে পড়ে আক্ষেপ। বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে তিনি বলেন “ছোট ছেলে বাংলায় অনার্স করেছে। চাকরি পাবে বলে মনে হয় না পাঁচ বিঘা জমি আছে সেটাতেই চাষ করবে। “



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *