Lake Town Murder: লেকটাউনে দমকলকর্মী খুনে ত্রিকোণ প্রেম তত্ত্ব, গ্রেফতার আরও ২ – laketown fire brigade worker murder case two more person arrested


বাড়ি এসে সরাসরি ফিল্মি কায়দায় বুকে গুলি। লেকটাউন দমকল কর্মী স্নেহাশিষ রায়কে গুলি করে খুন করার ঘটনায় গ্রেফতার আরও দুই। দিনেদুপুরে এভাবে কলকাতার রাস্তায় খুন বৃহস্পতিবার গোটা শহরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। সাগর হালদার এবং অন্যজন তন্ময় পাল ওরফে রাহুল ভোলা থানা এলাকা থেকে এদিন গ্রেফতার করে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি অনুযায়ী, সাগর হালদার মূল মাস্টারমাইন্ড সুপারি কিলার অর্থাৎ শুট্যারকে তিনিই সুপারি দিয়েছিলেন এক লাখ টাকা বলে দাবি। খুনের কারণ নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা থাকলেও নেপথ্যে ত্রিকোণ প্রেমের তত্ত্ব ক্রমশই জোরালো হয়ে উঠছে।

Lake Town Murder Case : ট্রেনে করে এসে টার্গেট ‘খাল্লাস’, ১২ ঘণ্টায় লেকটাউন খুনের কিনারা! ধৃত শ্যুটার সহ ২

জানা গিয়েছে, গোটা খুনের পরিকল্পনা থেকে শুরু করে কীভাবে পালানো, মাস্টারমাইন্ড হিসেবে একেবারে মূল ভূমিকা ছিল সাগরের। সাগর হালদার এর আগে তিনটি খুনে অভিযুক্ত কখনও তিনি সোদপুর কখনও বা ঘোলা কখনও আবার লেকটাউন এলাকায় থাকতেন। সুপারি কিলারদের সঙ্গে খুন করার বিষয় নিয়ে যোগাযোগ করে, এমনটাই তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে।

Lake Town Shootout : খাস কলকাতায় শ্যুটআউট! লেকটাউনে দমকলকর্মীকে গুলি করে খুন

এই ঘটনায় আগে যে তিনজন গ্রেফতার হয়েছিল তার মধ্যে আকাশকে জিজ্ঞাসাবাদ করে একেবারে বাকি অভিযুক্তদের সমস্ত তথ্য সামনে আসে এরপরেই গতকাল রাতে বিধাননগর গোয়েন্দা শাখার পুলিশ এবং লেকটাউন থানার পুলিশ এই দুজনকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পেরেছে ব্যবসায়িক শত্রুতার কারণে সম্ভবত এই খুন। তবে মৃতের ফোনের চ্যাট ঘেঁটে কিছু তথ্য উঠে আসছে, যা থেকে এই মামলায় মহিলা যোগও ফোকাসে।

Raju Jha : কী ভাবে খুন রাজু ঝা-কে? চার্জশিটে জানাল SIT

একদিকে লটারির ব্যবসা, অন্যদিকে বালি পাথরের ব্যবসা ছিল সাগর হালদারের। সাগর এবং স্নেহাশিষ এই দুজনেই ব্যবসায়িক পার্টনারও ছিল বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই পুলিশের পক্ষ থেকে দুজনকে আজকে বিধাননগর আদালতে পেশ করা হয়।

গত বৃহস্পতিবার মেয়েকে স্কুল থেকে বাড়িতে নিয়ে আসার পথে গুলিতে মৃত্যু হয় দমকলকর্মী স্নেহাশিস রায়ের। মেয়ের সামনেই গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। তৎক্ষণাৎ তাঁকে আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি। তদন্তে নামে লেকটাউন থানার পুলিশ। পরে বিধাননগর পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা ঘটনাস্থলে আসেন। দিনে দুপুরে কলকাতার রাস্তায় এমন ঘটনায় আইন শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *