Primary Teacher Recruitment : প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের সিলেকশন কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব – controversy over selection committee for recruitment of west bengal primary teachers


স্নেহাশিস নিয়োগী
রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের সিলেকশন কমিটিতে স্বচ্ছতা আনতে সরকারি প্রতিনিধি চেয়ে স্কুলশিক্ষা দফতরের দ্বারস্থ হয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। কিন্তু বিকাশ ভবনের আধিকারিকরা ওই সিলেকশন কমিটিতে তাঁদের প্রতিনিধি পাঠানোয় অনীহা প্রকাশ করে। পর্ষদের তরফে স্কুলশিক্ষা দফতরের কর্তাদের কাছে সিলেকশন কমিটির পাল্টা কম্পোজি়শন জানতে চাওয়া হয়েছিল। সেই বিষয়ে সময়ে সদুত্তর না-আসায় অ্যাডহক কমিটির সুপারিশ মেনে ইতিমধ্যেই সিলেকশন কমিটির পুনর্গঠন করেছে পর্ষদ।

শুক্রবার পর্ষদের অ্যাডহক কমিটির বৈঠকে সিলেকশন কমিটি পুনর্গঠনের রিপোর্ট পেশ করা হলে তা অনুমোদিত হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল বলেন, ‘বিধি মেনেই আমরা সিলেকশন কমিটি গঠন করেছি। তাতে তফসিলি জাতি, উপজাতি, ল অফিসার এবং ট্রান্সজেন্ডার প্রতিনিধি-সহ অন্যরাও থাকবেন। আগে কখনও এ ভাবে বিধি মেনে সিলেকশন কমিটি গঠিত হয়নি।’

Kalyanmoy Ganguly : কল্যাণময়ের ফাইল খোঁজা সহজ কাজ না! নবান্ন জানাল বিকাশ ভবনকে
অ্যাডহক কমিটির একাধিক সদস্য অবশ্য জানান, প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে আগের দুর্নীতি ও অনিয়মের জেরে এ বার বিশেষ সতর্ক হয়েই পর্ষদ কোমর বেঁধেছে।সূত্রের খবর, স্কুলশিক্ষা দফতর নিযুক্ত অ্যাডহক কমিটির মনোনীত সদস্যরা চাননি যে, নিয়োগ নিয়ে তাঁরা কোনও বিতর্কে জড়ান। তাই, তাঁরা স্কুলশিক্ষা দফতরের কাছে প্রস্তাব পাঠানোর আর্জি জানান সভাপতির কাছে। সেই মতোই চিঠি গিয়েছিল বিকাশ ভবনে।

কিন্তু স্কুলশিক্ষা কর্তারা পালটা জানতে চান, সিলেকশন কমিটিতে বিকাশ ভবনের প্রতিনিধি রাখতেই হবে, বিধিতে কি এ রকম কথা বলা আছে? তখন পর্ষদের তরফে পালটা সিলেকশন কমিটি গঠনের কম্পোজি়শন জানতে চাওয়া হয়েছিল। তার উত্তর বিকাশ ভবনের অদূরে থাকা আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র ভবনে এসে পৌঁছয়নি।

স্কুলশিক্ষা দফতরের সূত্রে বলা হয়েছে, আইনে যদি লেখা না-থাকে, তা হলে বিকাশ ভবন সরকারি প্রতিনিধি পাঠাবে কেন? কারণ, পর্ষদ একটি স্বশাসিত সংস্থা। অ্যাডহক কমিটির সদস্যরা পালটা প্রশ্ন তুলেছেন, পর্ষদের উপর কি দপ্তরের কর্তাদের আস্থা নেই? যদি না-থাকে, তা হলে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নজরদারি করতে বিকাশ ভবনের অবশ্যই প্রতিনিধি পাঠানো উচিত ছিল।

Recruitment Scam Case : নিয়োগ দুর্নীতিতে বাজেয়াপ্ত ১২৬ কোটির সম্পত্তি
স্কুলশিক্ষা দফতরের কর্তাদের পালটা দাবি, সবাই আইন অনুযায়ী কাজ করলে কোনও সমস্যা হবে না। পর্ষদের তরফে আবার বলা হয়েছে, যে কোনও নিয়োগের নিয়ম তো স্কুলশিক্ষা দফতরই তৈরি করে।

প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সিলেকশন কমিটির ভূমিকা কী?

স্কুলশিক্ষা ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, ইন্টারভিউয়ের পর জেলায় জেলায় শিক্ষক নিয়োগের যে প্যানেল তৈরি হবে, যোগ্যতা ও রস্টার মেনে সেই প্যানেলের অনুমোদন দেওয়াই কমিটির কাজ। যদিও বাম জমানায় ও তৃণমূলের সরকারের প্রথম দিকে এই প্যানেল অনুমোদনের দায়িত্ব ছিল খোদ ডিরেক্টর অফ স্কুল এডুকেশনের (ডিএসই)।

Anubrata Mondal : প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতিতেও বয়ান রেকর্ড কেষ্টর? আর্জি আদালতে
জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের (ডিপিএসসি) চেয়ারম্যানরা ইন্টারভিউ শেষে পর্ষদের মাধ্যমে ডিএসই-র কাছে প্যানেল অনুমোদনের জন্য পাঠাতেন। সব কিছু বিশদে খতিয়ে দেখে প্যানেল অনুমোদিত হলে নিয়োগপত্র দিত ডিপিএসসি।

কিন্তু ২০১৫ সালের ১৪ জুলাই স্কুলশিক্ষা দপ্তরই সেই বিধিতে বদল আনে। তার পর ২০১৬-’১৭ ও ২০২০-’২১-এর নিয়োগে পর্ষদের সিলেকশন কমিটিই প্যানেল অনুমোদন করে। ফলে, পষর্দই টেট ও ইন্টারভিউ নিচ্ছে, তারাই প্যানেল তৈরি করছে এবং তাদের তৈরি সিলেকশন কমিটি অনুমোদন দিচ্ছে নিয়োগের।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *