এই অভিযুক্ত কল্লোল সরকার বালুরঘাট শহর তৃণমূল যুব কংগ্রেস কমিটির সদস্য। যদিও ওই অডিয়ো ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি ‘এই সময় ডিজিটাল’। এদিকে এনিয়ে সোমবার বিকেলে বালুরঘাট মহকুমাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে টাউন BJP নেতৃত্ব।
অভিযোগ পেতেই ঘটনার তদন্তে নেমেছে প্রশাসন। প্রসঙ্গত, ওই অডিয়ো ক্লিপে শোনা যাচ্ছে, আবাসের ঘরের জন্য টাকা পয়সার লেনদেন ঠিক হচ্ছে। কোথায় কিভাবে কাকে টাকা দেওয়া হবে তা শোনা যাচ্ছে। পুরসভার এবং কালেক্টরির ট্রেজারি বিল্ডিংয়ের কাউকে এই টাকা দেওয়া হবে বলে তাঁদের কথোপকথনে উঠে আসছে।
এই অভিযোগের তির সেই যুবনেতা ও আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে। বাকিরা আবার কেউ কেউ পুরসভার অস্থায়ী কর্মী ও দলীয় কর্মী বলেও জানা গিয়েছে। অডিয়ো ক্লিপে শোনা যায় ফোনেই দর কষাকষি চলছে। দর ৫০ হাজার টাকা থেকে নেমে ৩০ হাজারে গিয়ে দাঁড়ায়। ওই ঘুষের টাকা দিতে হবে পুরসভা ও কালেক্টরিতে বলেই জানানো হয়।
এই অভিযোগ ওঠা মাত্রই BJP অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তবে BJP অভিযোগ জানালেও ওই কাউন্সিলর নিজের দলের নেতাদের বিরুদ্ধেই নাম না করে ক্ষোভ উগরে দিয়েছে। তবে তাঁর ছেলে কল্লোল সরকারকে একাধিকবার এনিয়ে ফোন করলেও তিনি ফোন ধরেননি।
এদিকে যাবতীয় অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত যুবনেতার বাবা তথা ওই কাউন্সিলর। এই বিষয়ে ওই কাউন্সিলর পরিমল কৃষ্ণ সরকার বলেন, ‘এটা পুরোপুরি চক্রান্ত। আমার ছেলে বা আমি কারও কাছে টাকা চাইনি। কেউ যদি প্রমাণ করতে পারে তাহলে আমি সকলের জুতোপেটা খাব। প্রয়োজনে কাউন্সিলরের পদ থেকে পদত্যাগ করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘এর পিছনে তৃণমূলের নেতারাই দায়ী।’ নাম না করে তৃণমূল নেতাদের তুলোধোনা করেছেন ওই কাউন্সিলর। এবিষয়ে BJP-র জেলা কমিটির সদস্য সুমন বর্মন বলেন, ‘ওই অডিও ক্লিপে যে কথোপকথন চলছে, তা ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সলিরের ছেলে কল্লোল সরকারের। ওই যুবনেতা দলের এক নিচু তলার তৃণমূল কর্মীর কাছে টাকা চাইছেন। এই তৃণমূল দলটাতে চোরে ভরে গিয়েছে। গতবারের ওই ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিল টাকা মেরে এখনও পলাতক। এবারও বর্তমান কাউন্সিলর ও তার ছেলে কাটমানি তুলছেন।’
এবিষয়ে বালুরঘাট টাউন যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মহেশ পারখ বললেন, ‘দলগতভাবে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এমন কোনও ঘটনা ঘটে থাকলে আইন আইনের পথে চলবে।’ বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র বলেন, ‘আমার কাছে এনিয়ে কেউ অভিযোগ জানায়নি। তবে এই ধরনের কাজ যদি কেউ করে থাকে, তা সমর্থনযোগ্য নয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনে দলীয় ও প্রশাসনিক দিক দিকে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
অন্যদিকে এদিকে বালুরঘাট মহকুমাশাসক সুমন দাশগুপ্ত বলেন, ‘এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানানো হবে।’