এর আগে পাওয়ার গ্রিড আন্দোলনের সময়ও ভাঙড়ের বিভিন্ন গ্রামের রাস্তা আটকাতে কাজে লাগানো হয়েছিল কাঠের গুঁড়ি। যার ফলে পুলিশ, সংবাদমাধ্যম আটকে পড়ত। সমস্যায় পড়তেন এলাকার বাসিন্দারাও। এখন সেই একই পথে আন্দোলন শুরু হয়েছে ভাঙড়ে। গত কয়েক সপ্তাহে বেশ কয়েকবার কাশীপুর থানার মাঝেরহাট গ্রামে আইএসএফ কর্মী-সমর্থকরা কাঠের গুঁড়ি ফেলে রাস্তা অবরোধ করেছিলেন। ওই গ্রামেই নওশাদ সিদ্দিকির বিধায়ক কার্যালয়। অভিযোগ, গ্রামে যাতে পুলিশ ঢুকতে না পারে তাই এমন ব্যবস্থা নিয়েছিল আইএসএফ।
ভোটের ফল ঘোষণার দিন কাঠালিয়া হাইস্কুলের দু’পাশের রাস্তা আটকে যথেচ্ছ গুলির লড়াই হয় পুলিশ ও আইএসএফের মধ্যে। সেই ঘটনায় জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার অফিসার গুলিবিদ্ধ হন। গুলি লাগে অফিসারের নিরাপত্তারক্ষীর পায়ে। সেদিন রাতে তিন আইএসএফ কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এরপর শোনপুর বাজার, কাঠালিয়া, কাটাডাঙা, ফুলতলায় কাঠের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করেছিলেন আইএসএফ কর্মী-সমর্থকরা। যার জেরে পুলিশের মুভমেন্ট করতে সমস্যা হয়।
রাস্তায় কারা কাঠের গুঁড়ি ফেলে আন্দোলনকারীদের সুবিধা করছেন তা দেখার নির্দেশ দেন বারুইপুরের পুলিশ সুপার পুষ্পা। একই সঙ্গে কারা গাছ কাটছেন, সেই গাছের বৈধ কাগজপত্র আছে কিনা তা-ও দেখার কথা বলেন তিনি। পাশাপাশি কাঠ ব্যবসার বৈধ লাইসেন্স আছে কি না সে সবও খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে বন দপ্তর। এ দিন শোনপুর বাজার থেকে কয়েক লক্ষ টাকার কাঠ বাজেয়াপ্ত করেন বন দপ্তরের অফিসাররা। যদিও এ নিয়ে বন দপ্তরের তরফে কেউ মুখ খুলতে চাননি।
ভাঙড়ের কাঠ ব্যবসায়ী মুনপচুর আলি মোল্লা বলেন, ‘ভাঙড়ে গন্ডগোলের জেরে এমনিতেই ব্যবসা লাটে উঠেছে। আমরা কাঠ চেরাই করে তা দিয়ে আসবাব বানাই। সেই ব্যবসায় এখন মন্দা দেখা দিয়েছে। তার উপর পুলিশ যদি কাঠ বাজেয়াপ্ত করে, তা হলে আমাদের না খেয়ে মরতে হবে। পুলিশ আগে থেকে সাবধান করলে আমরাই কাঠের গুঁড়ি সরিয়ে নিতাম।’