ব্যালট বাক্সে জল ঢালা, ব্যালট বাক্স পুড়িয়ে দেওয়া, ব্যালট লুঠ, ছাপ্পা ভোট-সহ বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে মোট ৬৯৬টি বুথে পুনর্নির্বাচনও হয়। ফলাফল প্রকাশের পর সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট ভাইরাল হতে দেখা যায়। সেই পোস্টে ‘লেফট ফ্রন্ট ডেইলি’র তরফে যে বুথগুলিতে পুনর্নির্বাচন হয়েছে, তার ফলাফলের একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়। সেই পরিসংখ্যান অনুযায়ী বামেরা পেয়েছে ৩৮০টি আসন। কংগ্রেস পেয়েছে ১২২টি আসন, বিজেপি পেয়েছে ৯১টি আসন, তৃণমূল পেয়েছে ৬৫টি আসন এবং আইএসএফ ও অন্যান্যদের দখলে গিয়েছে ৩৮টি আসন।
আর এবার পালটা একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরলেন তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য। এক ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘সমস্ত জেলা থেকে তথ্য আসার পর পুনর্নির্বাচনের ফলাফলের আসল তথ্য জানতে পারলাম। এবং তারই সঙ্গে সিপিএম দলটা কোন স্তরের মিথ্যেবাদী সেটাও আন্দাজ পেলাম।’ দেবাংশুর তুলে ধরা পরিসংখ্যান অনুয়ায়ী-
মোট আসন : ৭৬২ । মোট বুথ : ৬৯৬
তৃণমূল কংগ্রেস : ৪৭০
বিজেপি : ১০৩
কংগ্রেস : ৯১
সিপিএম : ৬২
নির্দল : ২৬
অন্যান্য : ১০
দেবাংশু আরও লেখেন, ‘সুতরাং যে সিপিএম নিজেদের প্রথম বলে দাবি করছিল, আসলে তারা চতুর্থ। সম্পূর্ণ কেন্দ্রীয় বাহিনী মোড়া পুনর্নির্বাচনে বিজেপি ও কংগ্রেসের থেকেও খারাপ ফল হয়েছে তাদের। ৩৪ বছর বাস্তবের মাটিতে ছাপ্পা দিতে দিতে এখন ফেসবুকেও ছাপ্পা মেরে ফল প্রকাশ করছে! নির্লজ্জ, বেহায়া আর আগাপাছতলা মিথ্যেবাদীর দল!’
প্রসঙ্গত, শুধু নির্বাচনেই নয়, গণনাতেও কারচুপি হয়েছে বলে কোথাও কোথাও অভিযোগ তুলেছে বাম-বিজেপি-সহ অন্যান্য বিরোধীরা। এছাড়া রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় গণনার পরেও লাগাতর উদ্ধার হচ্ছে ব্যালট। সেই নিয়েও সরগরম রাজ্য রাজনীতি। এক্ষেত্রে প্রশাসনিক আধিকারিকদের একাংশের বিরুদ্ধে শাসকদলের হয়ে কাজ করার অভিযোগও এনেছেন বিরোধী দলেরা নেতানেত্রীরা। তারই মাঝে পুনর্নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে সিপিএম-কে জবাব দিতে এই পরিসংখ্যান পেশ করলেন তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য।