সেই মতো দেহ আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সূত্রের খবর মৃত চাঁদ তৃণমূল কর্মী ছিলেন। যদিও পরিবারের তরফে রাজনৈতিক যোগ অস্বীকার করা হয়েছে। কিন্তু তৃণমূল নেতারা মৃত চাঁদকে নিজেদের দলের একনিষ্ঠ সমর্থক হিসেবে ঘোষণা করেছেন। এদিকে, কিভাবে চাঁদের মৃত্যু হয়েছে তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
মৃতের পরিবারের এক সদস্য পুলিশের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে বলেন, ‘গত ১১ই জুলাই থেকে চাঁদ নিখোঁজ ছিলেন। আমরা অনেকবার পুলিশের কাছে এসেছি। লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। কিন্তু পুলিশ দেখছি দেখব করে আমাদের ঘুরিয়ে গিয়েছে’।
তিনি আরও বলেন, ‘ভোটের দিন চাঁদ গণনার এলাকায় বাজার করতে গিয়েছিলেন। সেখানে ভোট গণনা চলছে তিনি জানতেন না। কারণ আমরা সাধারণ মানুষ। কোনও রাজনীতি করিনা। পরে শুনতে পাই ওই এলাকায় কিছু ঝামেলা হওয়ায় পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে’। পুলিশের লাঠির আঘাতেই কি আহত হয়েছিলেন চাঁদ?
এই প্রশ্নের উত্তরে তাঁর পরিবারের সদস্য বলেন, ‘তা আমরা জানিনা। এই বিষয়ে কিছু বলতে পারব না। তবে পুলিশ যদি আগে থেকে খোঁজার উদ্যোগ নিত, তাহলে চাঁদকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হত’। এই বিষয়ে গলসী-১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি জনার্দন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘চাঁদ বাউড়ি আমাদের দলের একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন।
ভোটের সময় দলের হয়ে যথেষ্ট কাজ করেছেন। সেই কারণেই তাঁর ওপর বিরোধী দল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের আক্রোশ ছিল বলে মনে হচ্ছে। উনি যে নিখোঁজ হয়েছেন সেই বিষয়ে আমরা জানতাম। দলের তরফেও খোঁজখবর করা হয়েছিল। পুলিশ প্রশাসনকে বলব দোষীদের খুঁজে বের করে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে’।