বেঙ্গল সাফারি পার্কে একমাত্র সাদা বাঘ হল কিকা। সাফারি পার্কে আসার পর শিলা নামে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারটি তিন শাবকের জন্ম দেয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই তিন শাবকের নাম রেখেছিলেন কিকা, ইকা ও রিকা। অসুস্থতার কারণে ইকা মারা যায়। তবে সাদা বাঘ হওয়ার কারণে অন্যান্য রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারগুলির তুলনায় কিকা বরাবরই পর্যটকদের কাছে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল।
কিছুদিন আগেই কিকার গর্ভবতী হওয়ার খবর মেলে। এরপর থেকেই কিকার প্রতি বাড়তি যত্নাআত্তি শুরু বেঙ্গল সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষ। তাকে আলাদা এনক্লোজারে রাখা হয়। সেখানে সর্বক্ষণ সিসি টিভি ক্যামেরার মাধ্যমে নজর রাখা হত। চিকিৎসকরা প্রতিদিন কিকার শারীরিক স্বাস্থ্যের পরীক্ষা নিরীক্ষা করত। কিকা দুটি হলুদ কালো শাবকের জন্ম দিলেও একটি মারা যায়। আপাতত মা ও আরেকটি শাবক সুস্থ রয়েছে বলেই জানিয়েছে বেঙ্গল সাফারি কর্তৃপক্ষ।
বেঙ্গল সাফারি পার্কে রয়্যাল বেঙ্গল বাঘের প্রজনন সফল ভাবে হওয়ায় খুশি বনদফতরের কর্তারা। এর আগেও শিলা তিন শাবক ও পরবর্তীকালে পাঁচ শাবকের জন্ম দিয়েছিল। কিকা পর রিকাও গর্ভবতী বলেই পার্ক সূত্রে জানা গিয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যেও সে শাবকের জন্ম দিতে চলেছে বলেই জানিয়েছে সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষ।
পার্কের আধিকারিক ও চিকিৎসকেরা বলছেন, সাধারণত রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার দুই ও তার বেশি শাবকের জন্ম দেয়। কিন্তু কিছু শাবকের জন্মের সময় থেকেই শরীরে রোগ প্রতিরোক্ষ ক্ষমতা কম ও দুর্বলতা থাকে। সেই কারণে জন্মাবার পরই তাদের মৃত্যু হয়। কিকার শাবকের ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে। তবে অন্য ব্যাঘ্র শাবকটির প্রতি নজর রাখা হচ্ছে। যাতে করে তাঁকে সুস্থ রাখা যায়।
বেঙ্গল সাফারি পার্কের ডিরেক্টর কমল সরকার বলেন, ‘কিকা যে ব্যাঘ্র শাবকটিকে জন্ম দিয়েছে, তার উপর আমরা বাড়তি নজর দেওযার চেষ্টা করছি। শাবকসহ কিকাকে আলাদা এনক্লোজারের রাখা হয়েছে। সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে সবসময় নজরদারি চলছে। চিকিৎসকরা প্রতি মুহূর্তে মা ও শাবককে পরীক্ষা করছেন। একটি শাবকের মৃত্যু হয়েছে। অন্যটিকে যাতে সুস্থভাবে বাঁচিয়ে রাখা যায়, আমরা সেই চেষ্টা করছি।’