তৃণমূলের দাপটে ২০টি জেলা পরিষদের সবকটিতেই বিরোধীরা দুই অঙ্কের আসন সংখ্যা অতিক্রম করতে পারেনি। কিন্তু ২০১৮-র ভোটে প্রাপ্ত ভোটের নিরিখে তৃণমূলের ভোট ৫ শতাংশ কমেছে। তবে তৃণমূলের ভোট শতাংশ কমলেও প্রধান বিরোধী দল হিসেবে বিরোধীদের ভোট যে বেড়েছে, এমনটা নয়। সিপিএম, কংগ্রেস ও আইএসএফের ভোট শতাংশও ঊর্ধ্বমুখী।
ভোটের প্রাপ্ত পরিসংখ্যান থেকে জানা গিয়েছে, জেলা পরিষদের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীদের প্রাপ্ত ভোটের হার ৫৬ শতাংশ। সেখানে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে বিজেপি প্রার্থীদের প্রাপ্ত ভোটের হার ২৪ শতাংশ। সেখানে বাম, কংগ্রেস ও আইএসএফ যৌথভাবে ১৯ শতাংশ ভোট পেয়েছে। এই পরিসংখ্যান থেকে ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে, আগামী লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল বিরোধী ভোট দুই বিরোধীপক্ষের মধ্যে ভাগ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
বাম, কংগ্রেস ও আইএসএফের প্রাপ্ত ভোট বেশ কয়েকটি জেলায় নজরে পড়ার মতো বৃদ্ধি পেয়ছে। মুর্শিদাবাদে ১৭ শতাংশ, পূর্ব বর্ধমানে ১৫ শতাংশ, পশ্চিম বর্ধমানে ৮ শতাংশ, উত্তর ২৪ পরগনার ৪.১ শতাংশ ও মালদায় ৩.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সব কটি জেলাতেই তৃণমূলের ভোট শতাংশ উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।
২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে গোটা রাজ্যে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে উঠে এসেছিল বিজেপি। কংগ্রেস ও বাম প্রার্থীরা একটিও আসনে জয়ী হতে পারেনি। কিন্তু ২০২২-র পুরসভা ভোটে বিজেপির ১৩ শতাংশ ভোটকে টেক্কা দিয়ে ১৯ শতাংশ ভোট পেয়েছে বাম, কংগ্রেস ও আইএসএফ। এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই তিনদলের একত্রিত ভোট শতাংশ অনেকটা বেড়েছে। তিন দলের মধ্যে বামেরা সব থেকে বেশি ভোট পেয়েছে। পূর্ব বর্ধমান, নদিয়া, হুগলি ও দক্ষিণ দিনাজপুরেও বামেদের ভোট শতাংশ চোখে পড়ার মতো বেড়েছে।
অন্যদিকে পুরনো গড় মুর্শিদাবাদ, মালদা ও দক্ষিণ দিনাজপুরেও আগের তুলনায় শক্তি বাড়িয়েছে কংগ্রেস। অন্যদিকে দুই ২৪ পরগনায় শক্তিবৃদ্ধি করেছে আইএসএফ। অন্যদিকে ২০১৮-র জেলা পরিষদের ফলের তুলনায় ঝাড়গ্রাম, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পুরুলিয়াতে শক্তি ও আসন বৃদ্ধি হয়েছে তৃণমূলের। পূর্ব মেদিনীপুর, হুগলি, পুরুলিয়া, কোচবিহার ও পশ্চিম বর্ধমানের মতো জেলাগুলিতে শক্তি কমেছে বিজেপির।