আদর্শ ‘আব্দুল কালাম’ স্যার! অভাবকে জয় করে BARC-র বিজ্ঞানী বালুরঘাটের কৌস্তভ


সিকিউরিটি গার্ডের কাজ করে অতি কষ্টে বাবা সংসার চালাতেন। অভাব লেগেই ছিল ঘরে। কিন্তু ছেলের চোখে ছিল দেশের কৃতী বিজ্ঞানী হওয়ার স্বপ্ন। আইডল ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আব্দুল কালাম। জেদ আর অধ্যবসায় সাফল্যের পথে সব বাধাকে অতিক্রম করতে সাহায্য করে। আজ, তাঁর স্বপ্ন সফলতার দোরগোড়ায় বালুরঘাটের কৌস্তভ।

Balurghat News : ষাঁড়ের হল জলাতঙ্ক! গুঁতোয় জখম একাধিক, বালুরঘাটে ভয়ে সিঁটিয়ে মানুষ
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাটের কৌস্তভ ঘোষ আজ দেশের অন্যতম সেরা পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রের বিজ্ঞানী (নিউক্লিয়ার সায়েন্টিস্ট) হওয়ার পথে। ইতিমধ্যেই ভাবা পারমাণবিক গবেষণা সংস্থার (Bhabha Atomic Research Centre) লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন কৌস্তভ।
চলতি মাসেই তিনি দক্ষিণ ভারতের ইন্দিরা গান্ধী রিসার্চ সেন্টারে তিনি জুনিয়র নিউক্লিয়ার সায়েন্টিস্ট পদে এক বছরের প্রশিক্ষণ নিতে যাচ্ছেন। সম্ভবত উত্তরবঙ্গ থেকে একমাত্র নিউক্লিয়ার সায়েন্টিস্ট এর সুযোগ পেয়েছে কৌস্তভ। তিনি নিউক্লয়ার ফুয়েল সাইকেলের উপর কাজ করবেন। এক বছর এই প্রশিক্ষণের পরেই তাকে সায়েন্টিফিক অফিসার হিসেবে নিয়োগের প্রস্তাব দেবে বার্ক।

Dakshin Dinajpur News : যক্ষ্মা রোগীকে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ দেওয়ার অভিযোগ, বিতর্কে দক্ষিণ দিনাজপুরের স্বাস্থ্যকেন্দ্র
২০১৬ সালে তিনি বালুরঘাট হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ করেন। ২০১৮ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় সফল হওয়ার পর ডিগ্রি অর্জনের জন্য বিশ্বভারতীতে ভর্তি হন। এরপর ২০২১ সাল থেকে তিনি গুয়াহাটি আইআইটিতে পড়াশোনা শুরু করেন। সেখান থেকেই তিনি ভাবা পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্রে নিয়োগের পরীক্ষায় বসেন।

Santali Medium School : পঠনপাঠনে উৎসাহী পড়ুয়ারা! দক্ষিণ দিনাজপুরে বাড়ানো হচ্ছে সাঁওতালি ভাষার স্কুল
ড:এপিজে আব্দুল কালামকে আইডল মেনে আজ তিনি সাফল্যের শিখরে পৌঁছলেও শুরুটা মোটেও সহজ ছিল না। কৌস্তভের বাবা অসিত বাবু শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি সংস্থায় সিকিউরিটি গার্ডের কাজ করেন। মা রুমু ঘোষ গৃহিণী। বাবার সামান্য আয়ের উপর ভিত্তি করেই তাঁদের সংসার চলত। ছোট থেকে অভাবকে সঙ্গী করেই জীবন কেটেছে কৌস্তভের।


কৌস্তবের মা বলেন, ‘অনেক পরিশ্রমের ফল পেয়েছে। যতটা পেরেছি ওর পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। খুব কষ্টে চলতে হয়েছে আমাদের। আজ খুশি লাগছে।’ কৌস্তভের কাজে আজ গর্বিত গোটা পরিবার। কৌস্তভের সাফল্যে খুশি এলাকার মানুষজনও। তবে, কৌস্তভ আগামী দেশের জন্য আরও বড় কাজ করুক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নতিতে অগ্রগণ্য ভূমিকা নিক, সেটাই এখন কামনা সকলের।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *