নাওয়া খাওয়া ভুলে চন্দ্রযান ৩-এর সাফল্যে অবিরাম কাজ, মিশনের গুরুদায়িত্বে বাঁকুড়ার কৃষক সন্তান বাপন


Chandrayaan-3 Mission : ছোটো থেকেই চাঁদ, নক্ষত্র, গ্রহ-উপগ্রহ নিয়ে আগ্রহ ছেলেটার। আর বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই আগ্রহ বেড়েছে বরং কমেনি। বাঁকুড়ার পাত্রসায়রের ডান্না গ্রামের কৃশানু নন্দী। গ্রামের সকলে যাকে ভালোবেসে ডাকে ‘বাপন’ নামে। প্রত্যন্ত ডান্না গ্রামের এই ছেলেটাই বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে ইতিহাস গড়তে চলা সদ্য উৎক্ষেপিত ভারতের চন্দ্রযান-৩ অভিযানের অন্যতম কারিগর।

West Bengal Trending News : &amp#39;চাঁদে আমার কেনা জমিতে চন্দ্রযান-৩ নামলে গর্ব হবে&amp#39;, মন্তব্য ঝাড়গ্রামের সুমন্তর
তাঁর এই সাফল্যে এই মুহূর্তে আনন্দে উদ্বেল ডান্না গ্রামের প্রতিটি মানুষ। পেশায় কৃষিজীবি বাবা তারাপদ নন্দীর হাত ধরে ছোটো বেলায় চাঁদকে ছুঁয়ে দেখার স্বপ্ন দেখা শুরু। যদিও বাঁকুড়ার এই প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে বেঙ্গালুরুর ইসরোর সদর দফতর-এই পথটা মোটেই মসৃণ ছিল না কৃশানুর কাছে।

Chandrayaan-3 Update : দুই ছেড়ে তিনে পা, আরও এক কক্ষপথ পেরিয়ে চাঁদের দিকে ছুটছে চন্দ্রযান
স্থানীয় বামিরা গুরুদাস বিদ্যায়তন থেকে মাধ্যমিক, ছাতনার কমলপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার কলকাতার আর.সি.সি ইনস্টিটিউট অব ইনফর্মেশান টেকনোলোজি থেকে বি.টেক। এরপর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.টেক পাশ করেন তিনি। এম.টেক করার সময়ই সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দেখে দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন পূরণে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোতে যোগদান।

Chandrayaan-2 Failure Reason : সামান্য ভুলেই চুরমার স্বপ্ন, চন্দ্রযান-২ মিশন ব্যর্থতার ৬টি কারণ জানুন
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার শ্রীহরিকোটা থেকে দুপুর ২ টা ৩৫ নাগাদ চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দেয় চন্দ্রযান-৩। ইতিমধ্যেই এই সাফল্যের জন্য ইসরোকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে নাসা। এখনও পর্যন্ত সফলভাবেই চলছে চন্দ্রযান ৩ মিশন। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই পৃথিবীর কক্ষপথে একবার পাক খাচ্ছে ভারতের চন্দ্রযান-৩।
এভাবে পৃথিবীর চার দিকে ঘোরার পর ৩১ জুলাই চাঁদের কক্ষপথের দিকে রওনা দেবে। ২৩ আগস্ট চাঁদে নামতে পারে বিক্রম ল্যান্ডার। বিকেল ৫টা ৪৭ মিনিটে দক্ষিণ মেরুতে ‘ল্যান্ডিংয়ের’ সম্ভাবনা। আর এর পর থেকেই আরও বেশি দায়িত্ব শুরু বাঁকুড়ার কৃশানু নন্দীদের।

Chandrayaan 3 Launch : স্বপ্নপূরণের উড়ান, চন্দ্রযান ৩-এর সফরনামা

বিক্রম ল্যাণ্ডার চাঁদের দক্ষিণ মেরু স্পর্শ করার ঠিক পরমুহূর্ত থেকেই রোভার বা রোবট গাড়ির গতিবিধির সমন্বয়ের দায়িত্বে যাঁরা থাকছেন, তাঁদের অন্যতম কৃশানু। তাই এই মুহূর্তে আপামোর বাঁকুড়া বাসীর অপেক্ষা ২৩ অগাস্ট রোভারের চন্দ্র স্পর্শের দিকে। কারণ ঐ দিনই যে ইসরোর হাত ধরে, কৃশানুর সৌজন্যে ইতিহাস সৃষ্টির পথে রুখা শুখা লাল মাটির জেলা বাঁকুড়াও। তাঁদের ছেলের কৃতিত্বের দিকে তাকিয়ে গোটা জেলা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *