উল্লেখ্য,ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হয়ে গিয়েছে গত মঙ্গলবার। পশ্চিম বর্ধমান জেলা জুড়ে শাসকদলেরই জয়জয়কার। পশ্চিম বর্ধমান জেলায় ৮ টি ব্লক রয়েছে। ওই ৮ ব্লকে মোট ১৮ টি জেলা পরিষদের আসন রয়েছে৷ প্রতিটিতে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী। বিরোধী শূন্য জেলাপরিষদের বোর্ড গঠন করতে চলেছে তৃণমূল।
পশ্চিম বর্ধমান জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী এ বিষয়ে বলেন, ‘মাননীয়া নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক করবেন কে হবেন সভাধিপতি। আমি এই বিষয়ে কিছু বলতে পারবো না। কলকাতায় রাজ্যস্তরে যারা আমাদের দলের দায়িত্বে রয়েছে তারা এই বিষয়টি ঠিক করেন।’
তাঁর কথায়, আমার যা দায়িত্ব ছিল পঞ্চায়েত ভোটে লড়াই করে দল কে জেতানো। আমি সেই দায়িত্ব পূরণ করেছি। জেলা পরিষদের বিদায়ী সহ সভাধিপতি সমীর বিশ্বাস বলেন, ‘এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাইনা।’ বোর্ড গঠন নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন জেলা স্তরের সকল নেতাই। উল্লেখ্য, গতবারে পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর জেলা পরিষদের নতুন বোর্ডের সভাধিপতি হিসাবে শপথ নেন সুভদ্রা বাউড়ি ও সহ সভাধিপতি হন সমীর বিশ্বাস৷ চলতি নির্বাচনে সুভদ্রা বাউরি অংশগ্রহণ করেননি। এবার তাঁর স্বামী বিশ্বনাথ বাউরি নির্বাচনে দাঁড়িয়ে যেতেন।
যদিও পশ্চিম বর্ধমানের সংগঠনকে নতুন করে ঢেলে সাজাতে নতুন বিজয়ী প্রার্থীদের রাজনৈতিক পাঠ দিয়েছেন জেলা সভাপতি। পশ্চিম বর্ধমানের সংগঠনকে নতুন করে ঢেলে সাজাতে পঞ্চায়েতে জয়ী প্রার্থীদের নিয়ে সাংগঠনিক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। কাঁকসা ব্লকের সংগঠনকে সুদৃঢ় শক্তিশালী করে তুলতে কাঁকসার সাতটি অঞ্চলের সকল জয়ী প্রার্থীদের নিয়ে দুটি সাংগঠনিক সভা করা হল।
প্রথম সভাটি করা হয় মলানদিঘি, গোপালপুর, আমলাজোড়া এই তিনটি অঞ্চলকে নিয়ে গোপালপুর নান্দনিক হলে এবং দ্বিতীয় সভাটি বনকাটি, বিদবিহার, ত্রিলোকচন্দ্রপুর ও কাঁকসা এই চারটি অঞ্চল নিয়ে সভাটি হয়। জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী প্রতিটি বিজয়ী প্রার্থীকে আগামী দিনে সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ পঞ্চায়েত পরিষেবা প্রদানের কথা বলেন এবং হুঁশিয়ারির সঙ্গে তিনি জানান কাঁকসা ব্লকে কোন গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বরদাস্ত করা হবে না। এবং সমাজবিরোধী দের কোন স্থান দেওয়া যাবে না।