Ethecal Hacking : হ্যাকিং হলেও এথিক্যাল, পে প্যাকেজ সিক্স ফিগারে – ethical hackers are now in immense demand from penetration testers at all levels of police administration


সোমনাথ মণ্ডল
নিত্য স্ত্রী-বাচক’, ‘নিত্য পুরুষ-বাচক’ শব্দের মতোই ‘হ্যাকার’ শব্দবন্ধকে অক্লেশে ‘নিত্য দুর্বৃত্ত-বাচক’ গোত্রে ফেলা হতো বহুকাল। যেখানে হ্যাকার মানেই ছিল অজানা স্থানে বসে অনলাইনে গোপন তথ্য-টাকা চুরি…। হলি-বলি-টলি, সর্বত্রই সিনেমার প্লটে ছিল তার অবাধ আনাগোনা। কাট টু ২০২০। বিশ্বের সঙ্গে ভারতের চাকরির দুনিয়াতেও এতদিনে সংযোজন হয়েছে নয়া ‘এথিক্যাল হ্যাকার’ গোত্রের। যাঁরা স্কিল-সেট এর স্কেলে ভর করে অক্লেশে ‘সিক্স-ফিগার স্যালারি’ পকেটে পুরছেন, করোনা পরবর্তী মরা চাকরি বাজারেও। ‘এথিক্যাল’ এবং ‘হ্যাকিং’, নামে যতই দু’টি বিপরীতধর্মী শব্দ থাকুক না কেন।

Cyber Crime : সাইবার নিরাপত্তায় ১০ হাজারের বেশি চাকরি
ট্রেন্ড বা পাগলামি কোন পর্যায়ে পৌঁছেছে বোঝাতে একটা উদাহরণই যথেষ্ট। সম্প্রতি কলকাতা পুলিশ আয়োজিত ‘হ্যাকাথন’ প্রতিযোগিতায় যে ভাবে সাড়া মিলেছে, তাতে হতবাক পুলিশকর্তারাই। ৪২২ জন অংশ নিয়েছিলেন এখানে। প্রতিযোগিতার একেবারে শুরুর মুহূর্তে ক্লাস সেভেনের দুই স্টুডেন্ট ল্যাপটপ হাতে হাজির হয়ে যায়। পুলিশকর্তাদের কাছে তারা আবদার করে, প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেই। দুই খুদে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। বয়সে ছোট হয়েও বড়দের টপকে ‘টপ-১৮’র মধ্যে জায়গা করে নিয়েছিল খুদেরা।

West Bengal Government : কেউ সিঁধ কাটছে মোবাইলে? বলবে সিকিউরিটি ল্যাব
কর্পোরেট ক্ষেত্রে তো বটেই, পুলিশ-প্রশাসনের সর্বস্তরেও এখন ‘পেনিট্রেশন টেস্টার’ থেকে এথিক্যাল হ্যাকারদের চাহিদা অপরিসীম। যে দক্ষতা অর্জনে ইঞ্জিনিয়ারিং বা সায়েন্স স্টুডেন্ট হতে হবে, এমন কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। বাংলা, ইংরাজি অনার্সের স্টুডেন্টরাও ‘এথিক্যাল হ্যাকার’ হতে চাইছেন! এটাই এখন চাকরির বাজারে হিপ অ্যান্ড হ্যাপেনিং ট্রেন্ড।

চাকরিতে কামাই-টাই আসল। এথিক্যাল হ্যাকারদের প্যাকেজ কেমন?
কলকাতার এক পড়ুয়া কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে বি-টেক ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে চাকরি জোটাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। এথিক্যাল হ্যাকারের সার্টিফিকেট তাকে দিয়েছে হায়দরাবাদের এক এমএনসি’তে মাসিক আড়াই লাখ টাকা বেতনের চাকরি! আরও অনেক উদাহরণ রয়েছে। বিসিএ পাস করে বসে ছিলেন কলকাতার আর এক পড়ুয়া। অভিভাবকদের অমতেই সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে কোর্সও করেন। তারপর দুবাইয়ের একটি সংস্থা তাঁকে লুফে নিয়েছে, মোটা বেতনে।

St Xaviers College: ফরাসি ভাষা শিখতে চান? সুযোগ দিচ্ছে কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ
যত দিন যাচ্ছে, এথিক্যাল হ্যাকারদের চাহিদা সে কারণেই বাড়ছে। তা যে শুধু কথার কথা নয়, সরকারি পরিসংখ্যানই সেটা স্পষ্ট করে দিচ্ছে। ন্যাসকম এবং কেন্দ্রীয় সরকারের রিপোর্ট বলছে, সাইবার সিকিউরিটি এবং হ্যাকিং-এর বিষয়ে জ্ঞান রয়েছে, এমন ২৫ লক্ষ এক্সপার্ট এই মুহূর্তে দরকার। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, জোগান রয়েছে মাত্র ২ লক্ষের।

Bajaj-Triumph Speed 400 কিনতে ঠিক কত টাকা খরচ? জানুন অন-রোড প্রাইজ
এ বিষয়ে দেশে পথিকৃৎ ইন্ডিয়ান স্কুল অব এথিক্যাল হ্যাকিং (আইএসওইএইচ) প্রতিষ্ঠাতা সন্দীপ সেনগুপ্তের দাবি, ‘আমাদের কাছে প্রতিবছর বিভিন্ন স্ট্রিম থেকে ছাত্রছাত্রীরা ভর্তি হচ্ছেন। স্কিল থাকলে কাজের অভাব নেই।’ কলকাতায় যে এথিক্যাল হ্যাকারদের চাহিদা বাড়ছে, সে বিষয়ে একমত সাইবার বিশেষজ্ঞ হৃত্বিক লালও।

এথিক্যাল হ্যাকারের কোর্স করতে কতদিন সময় লাগে? কত টাকাই বা খরচ পড়ে?

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, যে কোনও সাবজেক্টের পড়ুয়ারাই এই ধরনের কোর্স করতে পারেন। তবে কম্পিউটারের জ্ঞান থাকলে কোর্সগুলি দ্রুত রপ্ত করা সম্ভব। সাইবার সিকিউরিটির মধ্যে এথিক্যাল হ্যাকিং, ডিজিটাল ফরেন্সিক-সহ বিভিন্ন বিভাগ রয়েছে। কেউ মনে করলে আলাদা ভাবেও কোর্সও করতে পারেন। কলকাতায় বেশ কয়েকটি ইনস্টিটিউশন রয়েছে, যারা কোর্সগুলি করায়।

এথিক্যাল হ্যাকিং-এর কোর্স করতে কমপক্ষে মাস তিনেক সময় লাগে। খরচ কমবেশি ৩০-৪০ হাজার টাকা। খরচ এবং সময়ভেদে আরও একাধিক কোর্স রয়েছে। যেমন, দ্বাদশ শ্রেণির পর ডিজিটাল ফরেন্সিক এবং সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে চার বছরের বিএসসি অনার্স করা যেতে পারে। এর জন্য ভর্তি হতে হবে আইএসওইএইচ পরিচালিত ম্যাকাউট-এর কোর্সে, খরচ প্রায় ২ লক্ষ টাকা। তা ছাড়াও রয়েছে, এথিক্যাল হ্যাকারের গ্লোবাল সার্টিফিকেশন কোর্স। ইউএসএ থেকে সার্টিফিকেট পাওয়া যায় এ ক্ষেত্রে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *