Jalpaiguri News : জলপাইগুড়ি দম্পতির রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় নয়া মোড়, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি তৃণমূল সভাপতির বিরুদ্ধে – jalpaiguri couple suicide case arrest warrant issued against municipal vice chairman


অবশেষে জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি তথা জলপাইগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হল। ভট্টাচার্য দম্পতির আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলায় ঘটনায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল জেলা আদালত। হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ থেকে আগাম জামিনের আবেদন নাকচের পর থেকেই সৈকত চট্টোপাধ্যায় পলাতক বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আজ জেলা আদালত থেকে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করে জেলা পুলিশ। তা মঞ্জুর করেন বিচারক। জলপাইগুড়ির ভট্টাচার্য দম্পতির জোড়া আত্মহত্যায় সুইসাইড নোটে নাম থাকা চারজনের মধ্যে তিনজন গ্রেফতার হলেও ১৬ জুন থেকেই জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায় পলাতক। তাঁকে বিভিন্ন জায়গায় খুঁজেও পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি।

Anubrata Mondal And Sukanya Mondal : অনুব্রত-সুকন্যা মতবিরোধ? মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন আইনজীবী
সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী সন্দীপ সরকার বলেন, ‘জোড়া আত্মহত্যার প্ররোচনায় মামলায় অভিযুক্ত সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। আজ তদন্তকারী অফিসার আদালতকে বলেছেন সৈকতকে পাওয়া যাচ্ছে না। তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হোক। তাই বিচারক তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।’

গত ১ এপ্রিল জলপাইগুড়ি পান্ডার পাড়ার বাসিন্দা অপর্না ভট্টাচার্য ও সুবোধ ভট্টাচার্য নিজের বাড়িতেই আত্মহত্যা করেন। তাঁদের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় সুইসাইড নোট। সুইসাইড নোটে সৈকত চট্টোপাধ্যায়, কাউন্সিলর সন্দীপ ঘোষ সহ সোনালী বিশ্বাস ও মনোময় সরকারের নাম পাওয়া যায়। সুবোধ ভট্টাচার্যের দিদি BJP বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায় চার জনের নামেই অভিযোগ দায়ের করেন।

Birbhum Panchayat Result : জেলে বসেই জয়, ৩০৯ ভোটে জয়ী NIA-এর হাতে ধৃত মনোজ
ঘটনায় সৈকত চট্টোপাধ্যায় ছাড়া বাকি তিনজনে পুলিশ গ্রেফতার করলেও পলাতক রয়েছেন সৈকত। তাঁকে কোনোভাবেই পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। সৈকতকে গ্রেফতার করতে না পারায় তদন্তে এগোতে পারছেন না তদন্তকারী অফিসার। তাই তাঁকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্যই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন জানানো হয় আদালতের কাছে। আজ আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেন।

এদিকে, সময়ের মধ্যে চার্জশিট জমা করতে পারেনি পুলিশ। শুধু তাই নয় অতিরিক্ত সময় চেয়ে আদালতে আবেদনও করেননি তদন্তকারী পুলিশ অফিসার। যার ফলে দম্পতি আত্মহত্যার ঘটনায় একে পর এক অভিযুক্ত জামিনে মুক্তি পেয়ে যাচ্ছে।

West Midnapore Panchayat Result: অভিষেকের বাছাই করা প্রার্থীর বিরুদ্ধে লড়াই! গণনাকেন্দ্র থেকে আচমকা গ্রেফতার কেশপুরের নেতা
সন্দীপ ঘোষ জামিন পেয়েছিলেন। এবার জামিন হয়েছে অভিযুক্ত সোনালী বিশ্বাসের। যেহেতু পুলিশ ৬০ দিনের মধ্যে আদালতে চার্জশিট জমা করতে পারেনি, সেই কারণে সিজেএম আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছেন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *