Panchayat Election : ভোটের ‘ক্ষত’ বহু স্কুলে, প্রশ্নের মুখে পড়াশোনা – education has been disrupted in schools affected by panchayat poll violence


এই সময়: ভোটপর্ব মিটে যাওয়ার পরে ক্লাস শুরু হলেও এখনও পঠনপাঠনের অযোগ্য অনেক স্কুল। রয়ে গিয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ‘তাণ্ডব’ চিহ্ন। ভেঙে দেওয়া চেয়ার-টেবিল নিয়ে জয়নগর ২ ব্লকের বটতলা অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হলেও আতঙ্ক কাটেনি। ৩৪৭ জন পড়ুয়া রয়েছে এই স্কুলে। বুধবার থেকে পড়াশোনা শুরু হলেও ছাত্রছাত্রীর হাজিরা সংখ্যায় অনেক কম।

WB Vote Result : বড়দের ভোটে ভাঙল ছোটদের সিট, হিংসায় ক্ষতি চেয়ার-টেবিলের, ওরা বসবে কোথায়!
দক্ষিণ ২৪ পরগনার বটতলা স্কুলের মতো একই অবস্থা মালদার গাজোল ব্লকের এইচএনএম হাইস্কুলে। সোমবার স্কুল খুললে দেখা যায়, গোটা চত্বরে আবর্জনার স্তূপ। তারমধ্যে টানা বৃষ্টিতে নরকের চেহারা নিয়েছে। ক্লাস করার কোনও পরিস্থিতি নেই। ক্ষুব্ধ শিক্ষক ও পড়ুয়ারা সোজা চলে যান বিডিও অফিসে। কিন্তু দেড়ঘণ্টা ধরে কোনও সদুত্তর না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ পড়ুয়ারা তালা লাগিয়ে দেন বিডিওর ঘরে। পরে অবশ্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন আধিকারিকরা।

Panchayat Election In Bhangar : ক্লাসরুম দখল বাহিনীর, লেখাপড়া শিকেয়
পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন জয়নগরের বটতলা অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বুথে ব্যাপক গন্ডগোল হয়। ব্যালট বাক্স পুকুরে ফেলে দেওয়া নিয়ে চলে দেদার বোমাবাজি। চেয়ার-টেবিলের পায়া ভেঙে নিয়ে শুরু হয় মারপিট। প্রধান শিক্ষক বাসুদেব সর্দার বলেন, ‘২৩ বছর ধরে শিক্ষকতা করছি। এরকম ঘটনা অতীতে হয়নি। আমি ভোটের ডিউটিতে অন্যত্র ছিলাম। পরে স্কুলে এসে দেখি চেয়ার, জানালা, দরজা ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়েছে।’ দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান অজিত নায়েক বলেন, ‘জেলার গুটিকয়েক স্কুলে নির্বাচনের সময়ে আসবাবপত্রের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সেগুলি রিপোর্ট আকারে দপ্তরে জমা দেওয়া হয়েছে।’

Dakshin 24 Pargana News : BJP ও CPIM-কে ভোট দেওয়া প্রচুর ব্যালট উদ্ধার, সরগরম গঙ্গাসাগর
ডিসিআরসি ও ভোট গণনা কেন্দ্র করা হয়েছিল গাজোল ব্লকের এইচএনএম হাইস্কুলে। ভোট পর্ব মেটার পরে স্কুল ফেরত পেলেও প্রশাসনের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ শিক্ষক ও পড়ুয়ারা। প্রধান শিক্ষক ননীগোপাল বর্মন বলেন, ‘স্কুল ভবন ১৫ জুন অধিগ্রহণ করা হয়েছিল। একমাস পরে ফের ক্লাস শুরু হওয়ার কথা ছিল। স্কুলের ঘরে আবর্জনার স্তূপ।

Mid Day Meal West Bengal : BJP করার অপরাধ! মিড ডে মিলের রাঁধুনিকে হুমকির অভিযোগ, বিক্ষোভ নামখানায়
বৃষ্টিতে গোটা এলাকা নরকের চেহারা নিয়েছে। ক্লাস করার কোনও পরিস্থিতি নেই। সেটা জানাতেই বিডিও অফিসে যাওয়া হয়েছিল।’ অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্র বলে, ‘এক মাস স্কুল বন্ধ থাকায় পড়াশোনা এমনিতেই লাটে উঠেছিল। এখন আবার স্কুল খুললেও দু্র্গন্ধে ঢোকা যাচ্ছে না। বিডিও অসুস্থ। ঘণ্টা দেড়েক দাঁড়িয়ে থাকার পরেও কোনও আধিকারিক কথা বলতে না এলে দরজায় তালা ঝুলিয়ে দিই।’ পুলিশ ও প্রশাসনের আশ্বাসে অবশ্য দেড় ঘণ্টা পরে তালা খুলে দেয় ছাত্ররা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *