Uttar Dinajpur Zilla Parisad: তিন নারী দড়ি টানাটানি! উত্তর দিনাজপুরে জেলা পরিষদের সভাধিপতির চেয়ারে কে? তুঙ্গে জল্পনা – uttar dinajpur zilla parisad sabhadhipati or chairman three female leaders names are in discussion


পঞ্চায়েত ভোট ফলাফল প্রকাশের পর এক সপ্তাহ পার। ত্রিস্তরীয় গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে জনগণের রায়দানের পালা সম্পূর্ণ। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে এবার বোর্ড গঠনের পালা। উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি কে হবেন, তা নিয়ে জোর জল্পনা ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। শাসক শিবির তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে এখন প্রবল উত্তেজনা।

উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের মোট আসন রয়েছে ২৬টি। যার মধ্যে তৃণমূল ২৩টিতে এবং কংগ্রেস ৩টি আসনে জয়ী হয়েছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ার কারণে শাসক দল তৃণমূলই সভাধিপতি কে হবে তা নির্বাচন করবে। সভাধিপতি কে হবে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই জোর জল্পনা শুরু হয়েছে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, এবছর এই আসন তপশিলী জাতিভুক্ত মহিলা অথবা পুরুষ হিসেবে সংরক্ষিত রয়েছে। জেলা পরিষদের সভাধিপতি হওয়ার দৌড়ে মূলত তিনটি নাম উঠে আসছে। যারা হল পম্পা পাল, জ্যোৎস্না সিনহা বর্মন, এবং নবনীতা দাস মিত্র।

Paschim Bardhaman TMC : বিরোধীশূন্য জেলা পরিষদে আস্থা কি সুভদ্রার স্বামীর উপরে? সভাধিপতি পদ নিয়ে জোর গুঞ্জন পঃবর্ধমানে

পম্পা পাল

এদের মধ্যে পম্পা পাল ১৫ নং জেলা পরিষদ আসনে জয়ী হয়েছে। পম্পা পালের স্বামী গৌতম পাল করণদিঘির বিধায়ক। যার জেলা ও রাজ্যস্তরে তৃণমূল দলে ভাল প্রভাব রয়েছে।

জ্যোৎস্না সিনহা বর্মন

অপরদিকে, জ্যোৎস্না সিনহা বর্মন ১৬নং জেলা পরিষদ আসনে জয়ী হয়েছে। তার স্বামী সত্যজিৎ বর্মন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী তথা হেমতাবাদের বিধায়ক।

uttar dinajpur zilla parisad candidate

নবনীতা দাস মিত্র

অন্যদিকে নবনীতা দাস মিত্র ১৮ নং জেলা পরিষদ আসনে জয়ী হয়েছে। তার স্বামী সঞ্জয় মিত্র জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন এবং রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর ঘনিষ্ঠ হিসেবেই পরিচিত। এবারে উত্তর দিনাজপুর জেলার তিন বিধায়কের দৌড়ে কে জয়ী হয় তা নিয়েই চলছে জোর জল্পনা।

Paschim Medinipur Zilla Parishad : উত্তরার হাতেই থাকবে রাশ না নতুন কেউ দায়িত্বে? পঃ মেদিনীপুরের সভাধিপতি পদ নিয়ে জোর জল্পনা

উল্লেখ্য, এমনিতেই গোষ্ঠী কোন্দলে জর্জরিত জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। ইসলামপুরের বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই জেলা সভাপতি কানাইয়া লাল আগরওয়াল এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। এরপর চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমানের অনুগামীরাও জেলা নেতৃত্বের সমস্ত কর্মসূচি বয়কটের ডাক দিয়েছে। তার মধ্যে জেলা পরিষদের সভাধিপতি নিয়ে রায়গঞ্জ, করণদিঘি ও হেমতাবাদ এই তিন জায়গার বিধায়কেরা ইতিমধ্যেই নিজেদের প্রার্থীকে জেতানোর চেষ্টায় রয়েছে। জেলা পরিষদের সভাধিপতি কে হবে তা নিয়ে যথেষ্টই চিন্তিত জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব বলেই তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *