রাজ্যে শিক্ষক দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত রয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৯৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য রাজ্যপালের অনুমতি প্রয়োজন ছিল। সেই বাধা আর রইলো না। সরকারি পদস্থ ব্যক্তির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রক্রিয়ায় গতি আনতে এই পদক্ষেপের প্রয়োজন ছিল। সেই কারণেই রাজ্যপালের অনুমতি দরকার হয় বলে জানা গিয়েছে।
গত বছর জুলাই মাসে গ্রেফতার হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা চট্টোপাধ্যায় বাড়ি থেকে ২২ কোটি টাকা উদ্ধার হয়। এছাড়াও অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়ের বেলঘড়িয়ার ফ্ল্যাট থেকে আরও ২৭ কোটি টাকা উদ্ধার হয়। আলিপুর বিশেষ সিবিআই আদালতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
রাজ্যের কোনও বিধায়ক, মন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্তকারী সংস্থার কাজের জন্য বিধানসভার অধ্যক্ষর কাছ থেকে প্রয়োজনীয় অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন মেলে। সেক্ষেত্রে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিষয়ে বিধানসভার অধ্যক্ষকে পেরিয়ে রাজ্যপালের কাছ থেকে এই অনুমতি চাওয়া হল। বিষয়টি নিয়ে বিধানসভা স্পিকারের কাছে এরকম কোনও চিঠি যায়নি বলেই জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচনের শুরু থেকে নবান্ন ও রাজভবনের একটি প্রচ্ছন্ন বিরোধিতা চলে আসছে। অনেক ক্ষেত্রে আবার শাসক দলের নেতৃত্বরা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে প্রকাশের বিরোধিতা মূলক মন্তব্য করছেন। গোটা পঞ্চায়েত নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় রাজ্যপাল স্বয়ং সক্রিয় ছিলেন একাধিক ক্ষেত্রে। উপদ্রুত এলাকায় পরিদর্শন থেকে শুরু করে নির্বাচন কমিশনের কাছে জবাবদিহি একাধিক বিষয়ে সক্রিয় থাকতে দেখা গিয়েছে রাজ্যপালকে।
তবে, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এই অনুমতির বিষয়টি রাজ্য রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করল বলেই মনে করছেন অনেকে। যদিও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর কড়া পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় তৃণমূল কংগ্রেসকে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় দল ও সরকারের যে সমস্ত পদে ছিলেন, সমস্ত পদ থেকে তাঁকে নিষ্কাশিত করা হয় কয়েকদিনের মধ্যেই।