ওল্ড দিঘা ব্লুভির ঘাটে স্নান করতে নামেন তাঁরা। অমাবস্যার কোটাল থাকায় দুজনেই তলিয়ে যান। স্থানীয় নুলিয়া এবং পুলিশ প্রশাসন তারকেশ্বরকে উদ্ধার করে দিঘা হাসপাতালে পাঠালেও অরিন্দম তলিয়ে যান। বুধবার সকালে ওল্ড দিঘার হাসপাতাল ঘাটে অরিন্দমের দেহ ভেসে ওঠে। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। এই খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন দিঘায় এসে পৌঁছেছেন। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন তাঁর আত্মীয়-স্বজনরা। আহত তারকেশ্বরের অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে।
ওই পর্যটকের দলের এক সদস্য বলেন, ‘শুধু ওই ২ জন না, আরও বেশ কয়েকজন স্নান করতে নেমেছিলেন। কিন্তু স্নান করতে গিয়ে যে এত মর্মান্তিক কাণ্ড ঘটে যাবে, আমরা কেউই ভাবতে পারিনি। এই আফসোস আর শেষ হবে না। অরিন্দম আর আমাদের মাঝে নেই, এটা ভাবতেই পারছি না’।
তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার বিকেলে তাঁদের বাড়ি ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। তবে বাস ছাড়ার আগে আর এক বার সমুদ্রস্নানে গিয়েছিলেন সবাই। তখনই ঘটে দুর্ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, স্নান করতে নেমে গভীর সমুদ্রে চলে যাওয়াই বিপদ ডেকে আনল।
বড়সড় ঢেউয়ের ধাক্কায় সমুদ্রে তলিয়ে যান দুই যুবক। নুলিয়ারা ছুটে এসে জলে ঝাঁপিয়ে এক জনকে উদ্ধার করলেও অরিন্দমের খোঁজ পাওয়া যায়নি। অবশেষে বুধবার সকালে অরিন্দমের দেহ উদ্ধার হয়। বৃষ্টির মরশুম হওয়ায় এখন উত্তাল সমুদ্র। পর্যটকের সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে পর্যটন শহর দিঘায়।
প্রশাসনের নজর এড়িয়ে এই ধরনের ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে দিঘার সমুদ্রের জল বেড়ে যাওয়ায় অমাবস্যার ভরা কোটালে জলোচ্ছ্বাস দেখা দেয়৷ প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও বেশ কিছু মানুষ উত্তাল সমুদ্রে স্নানে নেমে পড়েন। যার ফলে এই ধরনের ঘটনা ঘটে চলেছে বলে জানা যাচ্ছে।
