আইনজীবী তথা দুর্গাপুর বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি দেবব্রত সাই ও কল্লোল ঘোষ এদিন স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, দুর্গাপুর বার অ্যাসোসিয়েশনের মধ্যে সমস্ত রাজনৈতিক দলের মতাদর্শের লোকজনই রয়েছেন। শুধুমাত্র তৃণমূল আইনজীবী সেলের নাম করে বিভিন্ন মাধ্যমে যে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে তার বিরুদ্ধে তাঁরা তীব্র প্রতিবাদ জানান। তাঁদের দাবি, মাননীয় বিচারক অসীমানন্দ মণ্ডলের সঙ্গে দুর্গাপুর বার অ্যাসোসিয়েশনের কিছু অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে সমস্যার জন্যই গত ৬ দিন আদালতের এই অচলাবস্থা চলছিল। এদিন থেকে তা স্বাভাবিক হল। বৃহস্পতিবার থেকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতের সমস্ত কাজকর্ম স্বাভাবিক চলবে বলেই জানিয়েছেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচনের গণনার দিন বুদবুদে কংগ্রেস কর্মীদের মারধরের ঘটনায় তৃণমূল প্রার্থীর স্বামী তথা দুর্গাপুর মহকুম আদালতের মুহুরি রতন মণ্ডল-সহ ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ১২ জুলাই ধৃতদের তোলা হয় দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে। শুননির সময় মুহুরি রতন মণ্ডলের জামিনের আর্জি করা হলেও তা খারিজ করে দেন মাননীয় বিচারক অসীমানন্দ মণ্ডল। অভিযোগ, তারপর থেকেই ওই বিচারকের একলাস বয়কট করে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতের বার অ্যাসোসিয়েশনের আইনজীবীরা।
এই বিষয়ে পশ্চিম বর্ধমান জেলা কংগ্রেস সভাপতি দেবেশ চক্রবর্তী অভিযোগ করে বলেন, ‘ভোট গণনার দিন বুদবুদ মহাকালী বিদ্যালয়ে কংগ্রেস নেতা ও কর্মীদের মারধরের এবং হত্যার ষড়যন্তকারী আসামীদের ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়ার ফলে মাননীয় বিচারক অসীমানন্দ মণ্ডলের এজলাস বয়কট করেছে তৃণমূলের দলদাস বার অ্যাসোসিয়েশন।’ তৃণমূল কংগ্রেসপন্থী ওইসব আইনজীবীদের আগামীদিনে মানুষ প্রত্যাখ্যান করবেন এবং সময় মত জবাব দেবেন বলেও মনে করেন দেবেশবাবু। এদিকে আদালতে অচলাবস্থা চলায় সমস্যা পড়েছিলেন বিচারপ্রার্থীরা। সেই দিকে থেকে আদালতের কাজকর্ম স্বাভাবিক হওয়ার খবর স্বস্তি দিয়েছে তাঁদেরও।