ED Raid Today : নিয়োগ দুর্নীতিতে ফের শহরে তল্লাশি, একাধিক জায়গায় হানা ED-র – ed raids at several places at kolkata in ssc teacher recruitment scam


আবারও ইডির তল্লাশি। শহর কলকাতার একাধিক এলাকায় তল্লাশি অভিযান এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের। সূত্রের খবর, নিয়োগ মামলা সংক্রান্ত তথ্যের সন্ধানেই এদিন শহরের বিভিন্ন জায়গায় হানা দেন ইডির আধিকারিকরা। ইতিমধ্যেই ক্যামাক স্ট্রিট ও প্রিন্স আনোয়ারশাহ রোডে পৌঁছে গিয়েছেন ইডি কর্তারা। সূত্রের মারফত জানা যাচ্ছে, নিয়োগ মামলায় ধৃত ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই তল্লাশি শুরু করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। নিয়োগ মামলা সংক্রান্ত তথ্যপ্রমাণের খোঁজে চলছে তল্লাশি।

প্রসঙ্গত, গত ৩০ মে প্রায় ১২ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’ গ্রেফতার করে ইডি। তদন্তকারীদের দাবি, নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তল ঘোষের সঙ্গে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মাঝে সেতুর ভূমিকা পালন করেছিলেন সুজয়। মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গেও ছিল তাঁর যোগাযোগ। সেক্ষেত্রে ২০১৮ সাল থেকে সুজয়কৃষ্ণ এই দুর্নীতিতে জড়িত বলেই দাবি ইডির।

Recruitment Scam Case : নিয়োগ দুর্নীতিতে বাজেয়াপ্ত ১২৬ কোটির সম্পত্তি
এদিকে জেলে থাকাকালীন সম্প্রতি মৃত্যু হয় সুজয়কৃ্ষ্ণ ভদ্রের স্ত্রী-র। সেই কারণে কিছু দিনের জন্য প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয় তাঁকে। এর আগে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই গ্রেফতার করেছিল বেসরকারি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ সংগঠনের নেতা তাপস মণ্ডলকে। তাঁর কাছ প্রথম এই ‘কালীঘাটের কাকু’র কথা জানতে পারেন তদন্তকারীরা। আবার নিয়োগে দুর্নীতি সংক্রান্ত তদন্তে নাম আসে গোপাল দলপতির। তাঁর মুখেও সুজয়কৃষ্ণর নাম শোনা গিয়েছিল। এরপরেই তদন্তকারীদের আতশকাচের তলায় আসেন সুজয়কৃষ্ণ।

Kalighater Kaku : প্যারোলের মেয়াদ শেষ, সুজয়কৃষ্ণর বুকে বসল স্টেন্ট
আগে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে ২ বার তলব করে সিবিআই। প্রথমবার সিবিআই দফতরে গিয়ে হাজিরা দিলেও, পরেরবার নিজের আইনজীবী মারফৎ নথিপত্র পাঠিয়েছিলেন তিনি। গত ২০ মে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট সুজয়ের বেহালার ফকিরপাড়া রোডের ফ্ল্যাট, বাড়ি, অফিস-সহ বহু জায়গায় তল্লাশি চালায়। আবার ওইদিনই নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। সুজয়ও একসময় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে কাজ করতেন বলে জানা যায়। সুজয়কৃষ্ণর সঙ্গে যোগ রয়েছে এমন ৩টি সংস্থাতেও তল্লাশি চালায় ইডি। সেই সংস্থাগুলির মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করা হয়েছে কি না, তসেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হয়। তারপরেই গত ৩০ মে সুজয়কৃষ্ণকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়। কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদে সহযোগিতা না করার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। এখন দেখার এদিনের তল্লাশি থেকে আরও কোনও নতুন তথ্য উঠে আসে কি না ইডির হাতে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *