মনসুরের পরিবারের সেই ক্ষত এখন দগদগে। ছেলের মৃত্যুর প্রায় একমাস। তারই মধ্যে বেঙ্গালুরুতে এক টেবিলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সিপিএমের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিকে দেখে মর্মাহত মনসুরের পরিবার। তারা বোঝে না জাতীয় রাজনীতি। যাদের হাতে তার ছেলের মৃত্যু হয়েছে তাদের সঙ্গে দহরম-মহরম ঘনিষ্ঠতা কোনওভাবেই মেনে নিতে পারছে না ওই পরিবার।
সর্বভারতীয় স্তরে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কোন মুখকে তুলে না ধরে মানুষকে ভাঁওতা দেওয়ার জন্য বৈঠক করছেন বলে মনে করছেন নিচু তলার এই সাধারণ কর্মীরা। এই বৈঠক তারা মেনে নিতে পারছে না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজের বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে বলেন, ”পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের হামলায় সিপিএম এবং কংগ্রেসের কর্মীরা মারা যাচ্ছেন। আজ সেই তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রীর সঙ্গে সিপিআইএম এবং কংগ্রেসের নেতারা বৈঠক করছেন।” মোদীর এই বক্তব্যকে সমর্থন করেছে নিহত সিপিআইএম মনসুরের দাদু মহম্মদ গিয়াসুদ্দিন।
উল্লেখ্য,গত ১৫ জুন পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাওয়ার সময় চোপড়া ব্লকের কাঁঠালবাড়ি গ্রামে তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়েছিল মনসুর আলম নামে এক সিপিএম কর্মী। গত ২২ জুন শিলিগুড়িতে মনসুরের মৃত্যু হয়। শাসক দলের নেতারা এই ঘটনায় যুক্ত থাকায় পুলিশ ঘটনার তদন্তে অনীহা দেখাচ্ছেন বলে অভিযোগ মৃত নেতার পরিবারের। তারা ছেলেকে হত্যার ঘটনায় বিচার থেকে বঞ্চিত মনসুরের পরিবার। ঘটনার একমাস কাটতে না কাটতে সর্বভারতীয় নেতারা ঘাতক তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের নিয়ে বৈঠককে ভালোভাবে নিতে পারছেন না।