এরপরে উত্তেজিত জনতা বাসটিকে আটকে রেখে ভাঙচুরও করে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ওই বাসে থাকা যাত্রীরা। বাস থেকে নেমে তাঁরা রাস্তার পাশে আতঙ্কে দাঁড়িয়ে থাকেন। সেই সময়েই তাঁদের ত্রাতা হয়ে আসে স্থানীয় এক মসজিদ কমিটি। ওই যাত্রীদের নিরাপত্তা দিয়ে মসজিদ কমিটির লোকেরা নিজেদের মসজিদেই আশ্রয় দেন।
ওই বাসের এক যাত্রী বলেন, ‘হাবরা থেকে পুরীর উদ্দেশ্যে বাসে করে রওনা দিয়েছিলাম আজ বিকেলে। বারাসতের জগদীঘাটা কাজী পাড়ার কাছে এসেই এক মহিলাকে ধাক্কা মারে আমাদের বাসটি। তারপরেই উত্তেজিত জনতা বাসের কাঁচ ভাঙচুর করতে শুরু করে। ভাঙচুর করতে আসা লোকজন আমাদের কোনও কথাই শোনেনি। এরপরে আতঙ্কিত হয়ে পড়ি আমরা। বাস থেকে কিছুটা দূরে রাস্তার উপরে দাঁড়িয়ে থাকি। এরপর স্থানীয় মসজিদ কমিটির উদ্যোগে নিরাপদে মসজিদের ভিতর আশ্রয় দেওয়া হয় আমাদের সবাইকে। মসজিদ কমিটিকে অনেক ধন্যবাদ বিপদে আমাদের সাহায্য করার জন্য।’
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বারাসত থানার পুলিশ। ঘাতক বাসটিকে আটক করে বারাসত থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। মসজিদ কমিটির এক সদস্য এই বিষয়ে বলেন,
‘আমরা কিছুই জানতাম না। মসজিদের ভিতরেই ছিলাম। হঠাৎ করে ভিতর থেকেই বাইরে শোরগোলের আওয়াজ পাই। সঙ্গে সঙ্গে বাইরে এসে দেখি উত্তেজিত লোকজন ওই বাসটিকে ভাঙচুর করছে। আর বাসের যাত্রীরা কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে আছেন। আমরা উত্তেজিত জনতাকে সামলানোর চেষ্টা করলেও কোনও লাভ হয়নি। শেষ পর্যন্ত ওই বাসের যাত্রীদেরকে ডেকে এনে মসজিদের মধ্যেই একটি ফাঁকা জায়গা রয়েছে, সেখানে থাকার ব্যবস্থা করি। পরে তাঁদের সুস্থভাবে বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করা হবে।’
ওই সদস্য আরও বলেন, ‘আমরা পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছি। পুলিশ ওই বাসটি আটক করে থানায় নিয়ে গেলেও যাত্রীদের ফেরানোর ব্যাপারে কথা হয়েছে।’ যদিও যাত্রীদের আশ্রয় দেওয়াকে মহানুভবতা হিসেবে না ধরে নিজেদের কর্তব্য হিসেবেই ধরছেন মসজিদ কমিটির লোকজন।