কিন্তু কোনও ফল না হওয়ায় তাঁরা বুধবার সকালে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ করে রাখেন। যার জেরে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়েতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। তাঁরা ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটির কাছে রাস্তা করে দেওয়ার দাবি করেন। এই অবরোধের কথা শুনে ঘটনাস্থলে আসেন সদ্য নির্বাচিত পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য শুকুর আলি।
তিনিও অবরোধকারীদের সঙ্গে দীর্ঘ সময় কথা বলেন। সেই সঙ্গে তিনি ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটির সঙ্গেও কথা বলে গ্রামবাসীদের সমস্যা বোঝানোর চেষ্টা করেন। এরপর ঘটনাস্থলে রহড়া থানার পুলিশ ও সোদপুর সাব ট্রাফিক গার্ডের পুলিশ এসে অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে অবরোধ উঠে যায়।
এই বিষয়ে পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য শুকুর আলি বলেছেন, ‘এটা দীর্ঘদিনের এক সমস্যা। কারণে বেশ অনেকদিন ধরেই এখানে ফোর লেন হওয়ার কাজ চলছে। সেই কারণে ধৈর্য হারিয়ে মানুষ আজ অবরোধ করেছেন। ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি খুব তাড়াতাড়ি কাজ শেষ করার আশ্বাস দিয়েছেন’।
স্থানীয় বাসিন্দা ও অবরোধকারী আনসার আলি দাবি করে বলেন, ‘যখন এখানে রাস্তার কাজ শুরু হল, তখন ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি বলেছিল বেশিদিন লাগবে না কাজ শেষ হতে। কিন্তু গত বছরে ডিসেম্বর থেকে শুরু করে এখনও পর্যন্ত এই রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ চলছেই। যার ফলে চূড়ান্ত সমস্যায় পড়ছি আমরা।
অনেকদিন ধরে আবেদন নিবেদন করার পরে কাজ না হওয়ায় আজ বাধ্য হয়ে আমরা সবাই অবরোধ করলাম’। উল্লেখ্য, কলকাতা, হাওড়া ও সংলগ্ন এলাকায় যানজট কাটাতে বড়সড় পরিকল্পনা বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ২০০ কিলোমিটারের একটি হাইস্পিড করিডর তৈরির প্রস্তাব নেওয়া হয়েছে।
যা কলকাতা, হাওড়া এবং দুই ২৪ পরগনাকে জুড়ছে। আর সেই কারণেই চলছে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়েতে ফোর লেন করার কাজ। কিন্তু বারবার অভিযোগ উঠছে কাজে ঢিলেমি দেওয়ার। যার ফলে সমস্যায় পড়ছেন আশেপাশের বাসিন্দারা, তাঁদের দাবি এমনই।