কিছুদিন আগেই ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে ভবানীপুরের বাসিন্দা তনিমা চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ করেন,’কলকাতার মতো শহরে তারের জঞ্জাল শুধু সৌন্দর্যর পথে বাধা হচ্ছে না। এমনভাবে তার গুলি রাস্তায় পড়ে থাকে যে অনেক পথচারীও দুর্ঘটনার কবলে পড়েন।’ পুর অধিবেশনেও সম্প্রতি বউবাজার এলাকার কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে এই বিষয়টি নিয়ে সরব হন। তিনি আর্জি রাখেন, ঠিকমতো পরিকল্পনা করে এগোলেই সমস্যার সমাধান সম্ভব। অনেক শহরেই মাটির তলা দিয়ে ইন্টারনেট, কেবল তার নিয়ে যাওয়ার জন্য ভুগর্ভস্থ পথ তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু, কলকাতাতে তা সম্ভব হচ্ছে না কেন?
পুরসভার বিদ্যুৎ বিভাগের কর্তাদের বক্তব্য, হরিশ মুখার্জি রোডে একমাত্র পাইলট প্রোজেক্ট হিসেবে ৭ কিমি রাস্তায় মাটির তলায় যাবতীয় কেবল লাইন নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে। কিন্তু, বাকি রাস্তায় তা সম্ভব হচ্ছে না কেব্ল টিভি অপাটেরদের সহযোগিতার অভাবে। তবে, গত দেড় বছরে শহরজুড়ে থাকা ডেড কেবল(অব্যবহৃত তার) সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি পুরসভার।
কেব্ল-ইন্টারনেটের তার মাটির তলা দিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য নতুন ৫টি রাস্তা চিহ্নিত করা হয়েছে বলে দাবি পুর কর্তাদের। ফুটপাথের তলা দিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে তার। মেয়র পারিষদ (বিদ্যুৎ) সন্দীপরঞ্জন বক্সি মঙ্গলবার বলেন, ‘এই প্রকল্পের খরচের কিছুটা অর্থ সংস্থাগুলি দেবে। সেই সঙ্গে ১৫ বছরের ভাড়ার টাকা নেওয়া হবে।’
বিশ্ববাংলা কেবল টিভি অপারেটরস ইউনিয়নের সভাপতি শঙ্কর মণ্ডলের বক্তব্য,’আমাদের সঙ্গে পুরসভার গত কয়েক সপ্তাহে একাধিক বৈঠক হয়েছে। ভূগর্ভস্থ কেবল লাইন নিয়ে যাওয়ার জন্য ভাড়া বাবদ টাকা আমরা দেব।’ পুরসভার বিদ্যুৎ বিভাগের কর্তাদের বক্তব্য, ‘৮ মাসের মধ্যে ৫টি রাস্তা দিয়ে ভুগর্ভস্থ কেবল লাইনের তার নিয়ে যাওয়ার কাজ শেষের টার্গেট রাখা হয়েছে।’