যদিও অপারেশনের পর আপাতত তিনি সুস্থই ছিলেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেও রাজনীতির ময়দানে সক্রিয় ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল তাঁকে।
ঠিক কী হয়েছে কুণাল ঘোষের?
এই তৃণমূল নেতা সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের ‘হেলথ আপডেট’ জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, “ভার্টিগোর প্রবল কামড়। মাথাঘোরা, বমি। দাঁড়ানোর সমস্যা। কুড়ি দিনে দু’বার। ওষুধ কাজ করছে না, ইনজেকশন নিয়ে ঘুমোতে হল। এখন হাসপাতালে ভর্তি। পরীক্ষা চলছে। চার পাঁচদিন যোগাযোগের বাইরে থাকতে হবে। আফশোস। কিন্তু শরীর সাড়া দিচ্ছে না।”
অর্থাৎ শারীরিক অসুস্থতার কারণে সেভাবে রাজনীতির ময়দানে তাঁকে কয়েকদিন নাও দেখা যেতে পারে সেভাবে, এমনটাই সূত্রের খবর। ২১ জুলাইয়ের আগে তাঁর সুস্থতা কামনা করছেন দলীয় কর্মী-সমর্থকরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক সমর্থকের থেকে শুভেচ্ছাবার্তা পেয়েছেন তিনি। প্রশ্ন উঠছে, একুশের মঞ্চে কি দেখা যাবে না কুণাল ঘোষকে?
উল্লেখ্য, মার্চ মাসে একটি ফুটবল ম্যাচে অংশ নিয়েছিলেন কুণাল ঘোষ। সেই সময় তাঁর পায়ে চোট লাগে। তিনি সেই সময় যন্ত্রণা নিয়েই মাঠ ছাড়েন। পরবর্তীতে সমস্যা বাড়লে বেশ কিছু পরীক্ষা করাতে হয়েছিল তাঁকে।
সেখানে জানা যায়, তাঁর ফিবুলা হাড় ভেঙে গিয়েছে। আর সেই হাড় জোড়া লাগানোর জন্য বসাতে হবে প্লেট। চিকিৎসকদের পরামর্শ মোতাবেক তিনি একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে অস্ত্রোপচার করান। ডাঃ সুদীপ্ত বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে করা হয় তাঁর অস্ত্রোপচার।
অপারেশনের পর কুণাল জানিয়েছিলেন তাঁর পায়ে প্লেট বসানো হয়েেছে। চিকিৎসকদের ধন্যবাদও জানিয়েছিলেন তিনি। এই দুর্ঘটনার পর ফের একবার ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন কুণাল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সক্রিয়ভাবে রাজনীতির ময়দানে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
নন্দীগ্রামের দায়িত্ব ছিল তাঁর কাঁধে। পাশাপাশি দলীয় মুখপাত্র হিসেবে পঞ্চায়েত নির্বাচনজুড়ে সক্রিয় ছিলেন তিনি। এদিকে ২১ জুলাইয়ের চূড়ান্ত প্রস্তুতি চলছে। জেলায় জেলায় জোরকদমে শুরু হয়ে গিয়েছে প্রস্তুতি। শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে বড় বার্তা দিতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।