২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় বক্তব্য রাখাকালীন কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দিয়ে মদন বলেন, ‘আমি তৃণমূলের হয়ে কাজ করার জন্য এখানে এসেছি, এলাকার নির্বাচিত বিধায়ক। এলাকায় অনেকে কাজ করতে অসুবিধা করছে। আমরা এমন অসুবিধা করব, কেঁদে পায়ে পড়া ছাড়া আর কোনও উপায় থাকবে না। আমি কিন্তু সাবধান করে দিলাম। কে কার সঙ্গে আছে, কার কত বড় জ্যাক, আমি জানতে চাই না। প্রকৃত ও ভালো তৃণমূল কর্মীদের যাঁরা চেপে দেওয়ার চেষ্টা করবেন অথবা মানুষের কাজে বাধা ও বেআইনি নির্মাণে যারা মদত দেবেন, তাঁরা সাবধান। আমরা কিন্তু নজর রাখছি।’
স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে হুঁশিয়ারির ঢঙে মদন আরও বলেন, ‘আমরা কিন্তু তাঁদের পর্যবেক্ষণে রেখেছি। পদ আজকে আছে কালকে কাঁচি দিয়ে কেটে দিতে দু’মিনিট সময় লাগবে না। এলাকার মানুষদের নিয়ে দল করতে হবে। আমার মনে হয় গোটা বিষয়টি আপনাদের কাছে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। এখানকার তৃণমূলকর্মীরা নিশ্চিন্তে ও নির্ভয়ে দল করুন। বুক ফুলিয়ে পার্টি করুন। আর একটা কথা বলতে চাই, তৃণমূলের নৌকা যদি ফুটো হয় তবে আপনারও কিন্তু জলে ভেসে থাকতে পারবেন না। আপনাকেও জলে ডুবে মরতে হবে।’
পঞ্চায়েত নির্বাচন মিটতে না মিটতেই ২১ জুলাই তৃণমূলের শহিদ সমাবেশ ঘিরে আগ্রহ তৈরি হয়েছে। তারমধ্যে দলের একাংশের বিরুদ্ধে মদনের এই বার্তা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। মদন বিধানসভা কেন্দ্র কামারহাটির বিভিন্ন এলাকায় তৃণমূল কাউন্সিলরদের একাংশের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে। সম্প্রতি আড়িয়দহের এক তৃণমূল নেতার দিকে গুলি চালনা ও তাঁকে রাস্তায় ফেলে মারধরের ঘটনা ঘটে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, গোষ্ঠীকোন্দল বুমের্যাং হতে পারে তা আন্দাজ করে নিয়েই কর্মী ও কাউন্সিলরদের উদ্দেশে এই কড়া বার্তা মদনের।