এদিন আহতদের হাতে ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘যাঁরা মারা গিয়েছেন তাঁদের সরকারের পক্ষ থেকে ২ লক্ষ টাকা করে দিচ্ছি আর চাকরি দিচ্ছি। আর যাঁরা আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি, তাঁদের ৫০ হাজার টাকা করে দিচ্ছি। যাঁরা হাসপাতালে ভর্তি আছেন তাঁদের আমি ৫০ হাজার টাকা করে দিয়ে গেলাম। বাদবাকি টাকা ৩ থেকে ৪ দিনের মধ্যে দিয়ে দেব। চাকরিটাও রেডি হয়ে গিয়েছে।’
পঞ্চায়েত নির্বাচনে আহতদের দেখতে এদিন এসএসকেএম-এ যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একদম হাসপাতালের বেডে গিয়ে আহতদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। কথাও বলেন তাঁদের সঙ্গে। আহতদের হাতে তুলে দেন আর্থিক সাহায্যের চেক। প্রত্যেকের শারীরিক পরিস্থিতির খোঁজ খবরও নেন। মখ্যমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে কার্যত আপ্লুত হয়ে পড়েন আহত ব্যক্তিরা। নিজ নিজ এলাকার পরিস্থিতির কথাও মুখ্যমন্ত্রীর সামনে তুলে ধরে ন কেউ কেউ। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
অন্যদিকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসার প্রতিবাদে বিজেপির মিছিলেরও সমালোচনা করতে শোনা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। তিনি বলেন, ‘আর কী করবে? যাদের কোনও কাজ নেই কর্ম নেই। কুৎসা আর হিংসা ছড়ানো কাজ। একটাই কাজ হিংসা করো, মানুষে মানুষে বিভেদ তৈরি করো, কুৎসা ছড়াও, আর মানুষের রক্ত নাও। সেই জন্য আগামীদিনে মানুষই বদলা নেবে। বদলাটা কী? শান্তিপূর্ন ভোটের মাধ্যমে, ইন্ডিয়া (INDIA) উইল ফেস দি ব্যাটেল।’ একইসঙ্গে বিজেপি নেতাদের একাংশের পাঁচ মাসের মধ্যে সরকার ফেলে দেওয়ার হুমকি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আগে বলুন একটা বালতি উলটে ফেলতে বলুন, তার পর সরকার ফেলবে। তোমাদের সরকার উলটে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। কালকে থেকে তো ভয়ে থরথর করে কাঁপছে।’