চিঠিতে অপর্ণা সেন উল্লেখ করেন, ‘আপনি অবগত আছেন যে ৮ জুন থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত গত ৩৭ দিনে পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ৫২ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এবং বহু মানুষ নিখোঁজ। আপনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্ব অস্বীকার না করেও, এই কথা অবশ্যই বলা যায় যে এই পঞ্চায়েত নির্বাচন কেন্দ্রিক হত্যালীলা, এবং অরাজকতার দায়িত্ব মূলত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এবং আপনার।’
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকেই সরাসরি দায়ী করেছেন তিনি। অপর্ণা এদিন যুক্তি দিয়ে বলেন, ‘স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের ওপর নির্ভর করেই কেন্দ্রীয় বাহিনী ও নির্বাচন কমিশনকে চলতে হয়। পশ্চিমবঙ্গের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে এই দায়িত্ব আপনি কোনোভাবেই অস্বীকার করতে পারেন না। আমরা দাবি করছি, অবিলম্বে এই রক্তস্নাত পশ্চিমবঙ্গে নিরপেক্ষ প্রশাসনিক ব্যবস্থা চালু করার মাধ্যমে পশ্চিম বঙ্গবাসীর প্রাণ, জীবিকা ও সম্পত্তির রক্ষার দায়িত্ব নিতে জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সরকার উদ্যোগী হোক।’
উল্লেখ্য, রাজ্যে পালাবদলের সময় ‘পরিবর্তন’ পন্থী হিসাবে নাম উঠে এসেছিল অপর্ণা সেনের নাম। রাজ্যে পরিবর্তনের আওয়াজ তুলে কলকাতায় মিছিল করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তবে এদিন তিনি যুক্তি দেন, সেই সময় বাম জমানার অত্যাচারের বিরুদ্ধে পথে হেঁটেছিলাম আমরা। তবে সেই একই হিংসা আমরা এখনও দেখছি। মানুষ সরকারের পরিবর্তন ঘটিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরকার গড়তে সাহায্য করেছিল।