তবে আরও দুর্ভোগের বিষয় হল, শুক্রবার ধর্মতলায় সমাবেশ হলেও বৃহস্পতিবার থেকেই কলকাতা শহরে বাসের সংখ্যা অনেকটাই কমে গিয়েছে বলে খবর। হাওড়া, হুগলি, বর্ধমান জেলা থেকেও প্রচুর পরিমাণে বাস তুলে নেওয়া হয়েছে। বাধ্য হয়ে বাস সমন্বয় সমিতি নালিশ জানাতে বাধ্য হয়েছেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী।
বাঁকুড়া, মালদা জেলার অবস্থাও অনেকটা এক। কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী জায়গা থেকে মূলত উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং শহরতলির তৃণমূল সমর্থকদের নিয়ে আসার জন্য বাস তুলে নেওয়ার হয়েছে বলে অভিযোগ। উল্লেখ্য, অন্যান্য বছরের তুলনায় আগামীকালের ২১ জুলাইয়ের সমাবেশের আয়োজন অনেকটাই বেশি।
হাওড়া, হুগলি, উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার দূরবর্তী এলাকাগুলি থেকে বৃহস্পতিবার বিকেলেই বাসের সংখ্যা অনেকটাই কমে গিয়েছে। কলকাতা শহরের লাগোয়া রাস্তাগুলিতে আদৌ কতোটা যান চলাচল স্বাভাবিক থাকবে তা বলাই বাহুল্য। কলকাতা পুলিশ সমাবেশের দিন পরিষেবা আংশিক সচল রাখতে চাইলেও সেটা সম্ভব হবে না বলেই মনে করছেন বাস মালিকেরা।
আগামীকাল, ২১শে জুলাই ধর্মতলায় তৃণমূল কংগ্রেসের শহিদ দিবস পালিত হবে অন্যান্য বছরের ন্যায়। সদ্য পঞ্চায়েত নির্বাচন জয়ের পরেই এই সমাবেশ হতে চলেছে। তবে এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রচুর তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর মৃত্যু হওয়ার কারণে এই দিনটিকে শ্রদ্ধা দিবস হিসেবে পালন করতে চলছে তৃণমূল কংগ্রেস।
পাশাপাশি, এদিনের সভা থেকে আগামী লোকসভা নির্বাচনের জন্য তৃণমূল নেত্রী কর্মীদের উদ্দেশে বার্তা দেবেন বলেও মনে করা হচ্ছে। তবে এবারের ২১ শে জুলাই সমাবেশ নিয়ে কিছুটা বাড়তি উচ্ছ্বাস রয়েছে তৃণমূল কর্মী, সমর্থকদের মধ্যেও। পঞ্চায়েত নির্বাচন জয়ের পরে নেত্রী কী বার্তা দেন, তার জন্য বুধবার থেকেই বিভিন্ন জেলার অনুগামীরা আসতে শুরু করেন কলকাতায়।