সম্প্রতি দিল্লি হাইকোর্টে পিছিয়ে গিয়েছে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের মামলার শুনানি। গত মঙ্গলবার মামলার শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও, ওইদিন অসুস্থ হয়ে পড়েন ইডি-র আইনজীবী এস ভি রাজু। যার জেরে আদলতে তিনি উপস্থিত থাকতে পারেননি। তাই আদালতের কাছে সময় চায় ইডি। শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য হয় আগামী ৩১ জুলাই। ফলত এবার দলের শহিদ দিবসের সভাতেও উপস্থিত থাকতে পারছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘স্নেহের’ কেষ্ট।
এদিকে আবার শোনা যাচ্ছে মেনে সুকন্যা মণ্ডলের সঙ্গে নাকি সম্প্রতি তীব্র মতবিরোধ দেখা দিয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের। আর এই মতবিরোধের জেরে সুকন্যা মণ্ডলের মামলা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তাঁর আইনজীবী। সূত্রের খবর, কোনও একটি বিষয় নিয়ে তীব্র মতবিরোধ দেখা দিয়েছে বাবা ও মেয়ের মধ্যে। তার জেরে মামলা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন সুকন্যার আইনজীবী অমিত কুমার। তিনি আর মামলা লড়তে চান না বলেও অনুব্রতর মেয়েকে জানিয়েও দিয়েছেন অমিত।
প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় গতবছর সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। পরবর্তীতে ইডির হাতে গ্রেফতার হন কেষ্টর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলও। দু’জনেই বর্তমানে দিল্লির তিহার জেলে বন্দি। গরু পাচার মামলায় প্রথমে বোলপুরের বাড়ি থেকে অনুব্রতকে গ্রেফতার করে সিবিআই। পরে তাঁকে ইডির তরফেও গ্রেফতার করা হয়। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয় কেষ্টকে। অনুব্রতর গ্রেফতারির ৮ মাস পর গত এপ্রিলে সুকন্যাকে গ্রেফতার করে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে নানাভাবে বিভ্রান্ত করার চেষ্টার অভিযোগ ওঠে সুকন্যার বিরুদ্ধে। অবশেষে তাঁকে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
এদিকে গ্রেফতারির পর থেকেই বিভিন্ন সময় জামিনের আবেদন জানিয়ে এসেছেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি। জামিনের আবেদন করতে দেখা গিয়েছে তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকেও। কিন্তু প্রত্যেকবারেই সমস্ত আর্জি খারিজ করেছে আদালত। কেষ্ট জেলবন্দি থাকা অবস্থাতেই বাংলায় হয়ে গিয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর এবার দলের শহিদ দিবস। কিন্তু এবার সেখানেও থাকা হচ্ছে না বীরভূমের এই দাপুটে তৃণমূল নেতার।