রাজ্যের যে কয়েকটি জায়গায় ফুলের চাষ হয় তার মধ্যে অন্যতম হাওড়া জেলা। বাগনানের ঘোড়াঘাটা ও দেউলটি ফুলচাষের জন্য গোটা রাজ্যে বিখ্যাত। তবে শুধু এই দুটি এলাকাই নয়, বাগননের একাধিক জায়গার কয়েক হাজার বিঘেতে সারা বছর বিভিন্ন ধরনের ফুল চাষ হয়। বিঘের পর বিঘে জমিতে রঙ বেরঙেরে ফুল দেখে চোখ জুড়িয়ে যেতে পারে। তবে বর্তমানে সেই ছবি অনেকটা বদলে গিয়েছে। এইবছর এইসব এলাকার বেশিরভাগ জায়গাতেই সেভাবে ফোটেনি ফুল।
এলাকার ফুল চাষীদের মতে গ্রীস্মের প্রখর দাবদাহের কারণে ফুল গাছ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। গাছে ফুলের কুঁড়ি আসলেও সেটা ঝরে পড়ে যাচ্ছে। গাছ বাঁচাতে দিনে একাধিকবার জল স্প্রে করলেও কোনও লাভ হচ্ছে না। কোনওভাবেই গাছ বাঁচানো সম্ভব হচ্ছে না। ফলন কম হওয়ার কারণে দুশ্চিন্তা রয়েছেই ফুলচাষীরা।
কী বলছেন এলাকার ফুলচাষীরা? বাকুড়দহ গ্রামের ফুলচাষী পুলক ধারা বলেন, ‘কয়েক বছরে কখনও কম আবার কখনও বেশি বৃষ্টির কারণে ফুলগাছ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কখনও আবার ছত্রাকের আক্রমণে ফুল গাছ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আর এতেই আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে আমাদের। রোদের তীব্রতার কারণেও ফুলের ফলন অনেকটাই কমে গিয়েছে। সেভাবে বৃষ্টি না হওয়ায় জলের অভাবে গাছ বাঁচানো অসম্ভব হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন নিয়ম করে গাছে জল দিতে হচ্ছে। তাতেও ফুল ফুটছেনা।’ ওই ফুলচাষী আরও বলেন, ‘ফুলের উৎপাদন কম হওয়ায় বাজারে ফুলের দাম ও বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে গরম যদি এইভাবে চলতে থাকে তাহলে ফুলের দাম আরও বাড়বে।’
অন্যদিকে ফুলের দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে তীব্র গরমকেই দায়ী করছেন সারা বাংলা ফুল চাষী ও ফুল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারন সম্পাদক নারায়ন নায়েক। তিনি বলেন, ‘গরমের পাশাপাশি বৃষ্টি না হওয়ায় ফুল গাছের ফলন কমেছে। তবে বর্ষার বৃষ্টি শুরু হলে এই সমস্যা অনেকটাই কাটানো সম্ভব হবে।’